গত কয়েকদিন ধরে ভারত ও তার প্রতিবেশী দেশগুলোর যা অবস্থান, তা থেকে স্পষ্ট যে হিমালয় অঞ্চলে ভারতের আধিপত্য কমাতে একজোট হয়েছে চীন-নেপাল আর পাকিস্তান। ভারতের জায়গা নিজেদের মানচিত্রে রেখে বিতর্কে নেপাল সরকার। এমনকি খোদ দেশের অন্দরেই ক্ষোভের মুখে পড়তে হচ্ছে নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলিকে।
কিন্তু এরই মধ্যে আরও এক চাঞ্চল্যকর খবর পাওয়া
চীনের গোয়েন্দা সংস্থা মিলিটারি অব স্টেট সিকিউরিটি বা এমএসএস তাদের উপস্থিতি বাড়াচ্ছে নেপালে। এই সংস্থাই চীনের গুপ্তচর সংস্থা হিসেবে পরিচিত।
নেপালের ভিতরেই নাকি ঘুরে বেড়াচ্ছে চীনা গুপ্তচররা। করোনা মোকাবিলায় মেডিক্যাল কর্মীদের ছদ্মবেশে নেপালে ঘুরে বেড়াচ্ছেন তারা।
গত সপ্তাহেই নেপালের প্রধানমন্ত্রী অভিযোগ করেছিলেন যে তার সরকার ফেলে দেওয়ার ষড়যন্ত্র করছে ভারত সরকার। আর তারপরই প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলির বিরুদ্ধে ক্ষোভ বাড়ল দলের অভ্যন্তরে। নেপালের কমিউনিস্ট পার্টির শীর্ষনেতারাই ওলির পদত্যাগের দাবি জানাচ্ছেন।
পাকিস্তানি গুপ্তচর সংস্থাও এর মধ্যে ঢুকতে চাইছে। তারাও নেপালের প্রধানমন্ত্রী ওলির সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করছে। ওলিকে সমর্থনের হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন ইমরান খান। কাঠমাণ্ডুর পাকিস্তানের দূতাবাসেও যাচ্ছেন আইএসআই এজেন্টরা।
স্থানীয় সংবাদমাধ্যম জানাচ্ছে, পুষ্প কমল দহল, মাধব নেপাল, ঝালা নাথ খানাল সহ একাধিক নেতা ওলির পদত্যাগের দাবি জানিয়েছেন বলে জানা গেছে। তাদের দাবি ওলির নেতৃত্বাধীন সরকার ব্যর্থ হয়েছে। আর তা থেকে নজর ঘোরানোর জন্যই ভারতের দিকে আঙুল তুলছেন ওলি।
নেপালের নতুন মানচিত্র নিয়ে ভারতে যে বিরোধিতা তৈরি হয়েছে, তার জেরেই তাকে পদ থেকে সরিয়ে ফেলার ষড়যন্ত্র চলছে ভারতে। তবে তার দাবি, সব চেষ্টা ব্যর্থ হয়ে যাবে। ক্ষমতায় থাকবেন তিনিই।