আমেরিকার ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্পের মূর্তি পোড়ানো হলো। এ ঘটনা ঘটেছে তার জন্মভূমি স্লোভেনিয়াতে। জানা গেছে, গত ৪ জুলাই রাতে মূর্তিটিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়।
৪ জুলাই ছিল আমেরিকার স্বাধীনতা দিবস। স্বাধীনতা দিবস উদযাপনের মধ্যেই মার্কিন ফার্স্ট লেডির কাঠের মূর্তিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়া হয়। ব্র্যাড ডাউনি নামে বার্লিনে বসবাসকারী এক মার্কিন স্থপতি এই মূর্তিটি তৈরি করেছিলেন। সংবাদসংস্থা রয়টার্সকে মূর্তিটি পুড়িয়ে দেওয়ার কথা তিনিই জানান। প্রমাণ সাইজের কাঠের মূর্তিটি পুড়ে কালো হয়ে গেছে।
আমেরিকার রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের স্ত্রী মেলানিয়া ট্রাম্পের মূর্তিতে আগুন ধরিয়ে দেওয়ার ঘটনা নতুন বিতর্কের সৃষ্টি করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
৫ জুলাই এই ঘটনার কথা জানার পরই আগুনে পুড়ে নষ্ট হয়ে যাওয়া মেলানিয়া ট্রাম্পের মূর্তিটি সরিয়ে নিয়ে যায় স্থানীয় পুলিশ। ব্র্যাড ডাউনি বলেন, আমি জানতে চাই ওরা এটা কেন করেছে।
আমেরিকার কোনো ঐতিহাসিক স্থাপত্য নষ্ট করলে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের করার কথা বলেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। পুলিশি অত্যাচারে কৃষ্ণাঙ্গ যুবক জর্জ ফ্লয়েডের মৃত্যুর পরে সে দেশে বর্ণবিদ্বেষের বিরুদ্ধে আন্দোলন জোরালো আকার নিয়েছে।
তাদের বিরুদ্ধে পুলিশে অভিযোগ দায়ের করেছেন ব্র্যাড ডাউনি। আগামী সেপ্টেম্বরে স্লোভেনিয়ায় একটি প্রদর্শনীর আয়োজন করতে চলেছেন ডাউনি। সেই প্রদর্শনী উপলক্ষে একটি ছবি তৈরি করতে চান তিনি। সেই ছবির জন্য এই অপরাধীদের সাক্ষাত্কার নিতে চান ডাউনি।
আগুনে পুড়ে গিয়ে মূর্তিটির মুখ এতটাই কালো হয়ে গিয়েছে যে মুখ দেখে কিছুই চেনা যাচ্ছে না। তবে মূর্তির পরনের পোশাকটি থেকে স্পষ্ট মেলানিয়া ট্রাম্পকে চিহ্নিত করা যাচ্ছে। মূর্তির পরনে হালকা নীল রঙের র্যাপরাউন্ড কোট। এই পোশাকটিই মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে ট্রাম্পের শপথগ্রহণের অনুষ্ঠানে মার্কিন ফার্স্টলেডির পরনে ছিল। গত বছর স্লোভেনিয়ার মোরাভকে শহরে একইভাবে পোড়ানো হয়েছিল মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের একটি মূর্তি।