প্রতিবেশী দেশ ভারতের সাথে আমদানি-রপ্তানি গতিশীল করতে বাংলাদেশের পার্সেল ট্রেন চলাচল শুরু হয়েছে। দেশটির অন্ধ্র প্রদেশ থেকে প্রথমবারের মতো শুকনো মরিচ বহনকারী পার্সেল ট্রেন বেনাপোলে এসে পৌঁছেছে।
৩৮৪ টন শুকনো মরিচ ভর্তি ১৬টি উচ্চ ধারণ ক্ষমতাসম্পন্ন পার্সেল ভ্যান সংবলিত একটি বিশেষ ট্রেন পাঠিয়েছে। সোমবার ঢাকার ভারতীয় হাইকমিশন থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়। তাতে বলা হয়, বিশেষ পার্সেল এক্সপ্রেসটি (এসপিই) ভারতের গুণ্টুরের রেড্ডিপালেম থেকে বাংলাদেশের বেনাপোল পর্যন্ত ১৩৭২ কিলোমিটারের বেশি পথ অতিক্রম করে। রেলপথে পরিবহন ব্যয় সড়ক পরিবহনের তুলনায় সাশ্রয়ী।
ভারতের অন্ধ্র প্রদেশ থেকে এই প্রথমবারের মতো আসা পার্সেল ট্রেনটি ৩৮৪ টন শুকণো মরিচ নিয়ে বাংলাদেশের বেনোপোলে সকাল ১১ টায় এসে পৌছেছে। যে কোন সময় এ ট্রেনটির মালঅমাল খালাস করা হবে। এর মাধ্যমে ট্রাকের পরিবর্তে ট্রেনের মাধ্যমে ভারত থেকে পার্সেল ট্রেন আসা শুরু হলো। এর ফলে রেলওয়েতে পণ্য পরিবহন আরো সহজ হলো একইসাথে সরকারও রাজস্ব আয় বৃদ্ধি পাবে।
২০২০ সালের মার্চ থেকে কোভিড-১৯ সম্পর্কিত বিধিনিষেধের কারণে দু’দেশের মধ্যে পরিবহন পরিষেবা ব্যাহত হওয়ায় ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যে প্রভাব পড়ে। এ কারণে ভারতীয় হাইকমিশন সরবরাহ শৃংলার এই বিঘ্ন কমাতে বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষকে ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে পার্সেল ট্রেন পরিষেবা সহজতর করার প্রস্তাব দেয়। বাংলাদেশ রেল কর্তৃপক্ষ রাজি হওয়ার পরে প্রথম পার্সেল ট্রেন সেবার জন্য পণ্য একত্রিত করা হয়। এই পার্সেল ট্রেন পরিষেবা উভয় দেশের মধ্যে বাণিজ্য বাড়াতে ভূমিকা রাখবে বলে আশা করেছে ভারত।