দীর্ঘ ১৫ ঘণ্টা বৈঠকের পর ভারত ও চীন মৌখিক সমঝোতায় পৌঁছালেও লাদাখের ফিঙ্গারস এলাকা থেকে সরতে চাইছে না চীন। তবে পিছু হটছে না ভারতও। পাল্টা পদক্ষেপ নিয়ে লাদাখে ট্যাঙ্কের সংখ্যা বাড়িয়েছে নয়াদিল্লি।
একই সঙ্গে জম্মু-কাশ্মীরের পরিস্থিতিও খতিয়ে দেখবেন রাজনাথ সিং। সূত্রের খবর, এরই মধ্যে দিল্লি পৌঁছেছেন চিফ অব নর্দার্ন কমান্ড লেফটেন্যান্ট জেনারেল ওয়াই কে যোশি। খুব তাড়াতাড়ি ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে দেখা করার কথা রয়েছে তাঁর। সে ক্ষেত্রে সীমান্তের পরিস্থিতি ব্যাখ্যা করতে পারেন যোশি।
দুই দেশের সীমান্তে ক্রমে উত্তেজনা বাড়ছে। পাংগং ঘিরে ফের জটিলতা তৈরি করেছে চীন। ফিঙ্গারস ফোর থেকে কোনোমতেই সরতে চাইছে না চীন। তাই পূর্ব লাদাখে সেনাশক্তি বৃদ্ধি করে সব রকম পরিস্থিতির মোকাবিলা করতে তৈরি ভারতীয় সেনাবাহিনী। ১৭ ও ১৮ জুলাই লাদাখ সফরে যাওয়ার কথা রয়েছে ভারতের কেন্দ্রীয় প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিংয়ের।
এরই মধ্যে পূর্ব লাদাখে আরো ৬০ হাজার সেনা জওয়ান মোতায়েন করেছে ভারত। মোতায়েন করা হয়েছে ভীষ্ম ট্যাঙ্ক, অ্যাপাচে অ্যাটাক হেলিকপ্টার, সুখোই ফাইটার জেট, চিনুক ও রুদ্র হেলিকপ্টার। চীন সীমান্তে চলছে ভারতীয় সেনাবাহিনীর কড়া নজরদারি।
ফিঙ্গারস ফোরের কাছে ব্ল্যাকটপ ও গ্রিনটপ থেকে সেনা সরিয়ে নিয়েছে চীন। এর আগে কর্পস কমান্ডার স্তরে ১৫ ঘণ্টা ধরে টানা বৈঠক করার পর ভারত-চীন দুই দেশই নিজ নিজ অবস্থানে ফিরে যেতে রাজি হয়।
১৫ ঘণ্টার বৈঠকের ফল খতিয়ে দেখেছেন চায়না স্টাডি গ্রুপ বা সিএসজির প্রধান ও দেশের জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভাল। বৃহস্পতিবারই পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন তাঁর হাতে এসে পৌঁছেছে। সিএসজিতে রয়েছেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব, স্বরাষ্ট্র সচিব, বিদেশ সচিব ও প্রতিরক্ষা সচিবরা। রয়েছেন ভারতীয় সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর প্রতিনিধিরা।