ইরানের তেল বিক্রির অর্থ আটকে দেয়ার ‘অশিষ্ট’ আচরণের ব্যাপারে দক্ষিণ কোরিয়াকে সতর্ক করে দিয়েছে তেহরান। ইরান বলেছে, এই ‘অগ্রহণযোগ্য’ ও ‘অন্যায়’ আচরণের কোনো ব্যাখ্যা থাকতে পারে না।
ইরানের জাতীয় সংসদের ভাইস-স্পিকার আমিরহোসেইন হাশেমি শুক্রবার বলেছেন, দক্ষিণ কোরিয়া সরকার আমেরিকার চাপে ইরানি জনগণের তেল বিক্রির অর্থ আটকে দিয়েছে যা দুঃখজনক ও বিস্ময়কর।
হাশেমি সিউলের ‘অশিষ্ট’ আচরণের নিন্দা জানিয়ে বলেন, এ ঘটনা প্রমাণ করে দক্ষিণ কোরিয়া কোনো ধরনের নৈতিক বা আইনগত নীতি মেনে চলে না। তিনি আরো বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া মার্কিন বলদর্পিতার কাছে নতি স্বীকার করে অন্য দেশের অধিকার লঙ্ঘন করে যাচ্ছে।
তিনি ইরানি অর্থ দেশে ফিরিয়ে আনতে প্রচেষ্টা চালানো জন্য ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের প্রতি আহ্বান জানান। এর আগে ইরানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র আব্বাস মুসাভি জানিয়েছিলেন, তেহরান বিষয়টি নিয়ে সিউলকে আনুষ্ঠানিক সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে।
দক্ষিণ কোরিয়ার কাছে ইরানের তেল বিক্রির ৬৫০ কোটি থেকে ৯০০ কোটি ডলার অর্থ পাওনা রয়েছে।তেহরান বারবার ওই অর্থ ছাড় দেয়ার জন্য সিউলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে আসছে যাতে ইরানের জন্য মৌলিক পণ্যসামগ্রী আমদানি করা যায়। কিন্তু সিউল এখন পর্যন্ত ইরানের এই ন্যায়সঙ্গত দাবি উপেক্ষা করে এসেছে।