অভিবাসন মনোভাবের চরম বহিঃপ্রকাশ ঘটাতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ২১ জুলাই আরেকটি নির্বাহী আদেশ জারি করলেন। এর ফলে চলমান আদশশুমারিতে অন্তর্ভুক্ত হতে পারবে না অবৈধভাবে বসবাসরতরা।
অপর এক নির্বাহী আদেশে আদশশুমারি ফরমে ‘সিটিজেনশিপ’ কলাম রাখতে বলেছিলেন ট্রাম্প। কিন্তু সুপ্রিম কোর্টে চ্যালেঞ্জ করায় সে নির্দেশ কার্যকর হতে পারেনি।
এই আদেশের বিরুদ্ধেও আদালতে যাওয়ার হুমকি দিয়েছে মানবাধিকার ও অভিবাসীদের অধিকার নিয়ে কর্মরতরা।
১৯৭০ সাল থেকে ১০ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত আদশশুমারির ফরমে আগে কখনো নাগরিকের ইমিগ্রেশন স্ট্যাটাস নিয়ে কোন প্রশ্নের উদ্রেক ঘটেনি।
নির্দিষ্ট সংখ্যক মানুষ না থাকলে নিকটবর্তী ডিস্ট্রিক্টের সাথে একিভূত হয়। এর আগের আদশশুমারিতে নিউইয়র্ক এবং ওহাইয়ো দুটি আসন খুইয়েছে।
টেক্সাস যোগ করেছে ৪টি আসন। সবগুলো রিপাবলিকানদের কব্জায় গেছে। এবারের এই বিধি বহাল থাকলে নিউজার্সি এবং ক্যালিফোর্নিয়া অন্তত দুটি আসন হারাবে।
ট্রাম্প বলেছেন, যারা বেআইনিভাবে যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছে, তারা কখনই ফেডারেল তহবিলের হিস্যা হতে পারে না। তাদের সাথে যুক্তরাষ্ট্রের নীতি-নির্ধারণী ক্ষমতা শেয়ার করার প্রশ্নই উঠে না। আমার প্রশাসন কখনই এমন কোন ব্যক্তিকে সাপোর্ট করতে পারে না, যারা বেআইনীভাবে অবস্থান করছে। তারা তো স্থায়ী কেউ নয়। যে কোন সময় তাদেরকে চলে যেতে হবে নিজ নিজ দেশে। তাই এমন অবৈধদেরকে কখনোই রাজনৈতিক ক্ষমতা দিতে পারি না।
আদেশের কপি সরাসরি বাণিজ্যমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়েছে। আদশশুমারি পরিচালিত হচ্ছে এই মন্ত্রণালয়ের নেতৃত্বে।
বিশ্লেষকরা মনে করেন, নভেম্বরের নির্বাচনে কট্টরপন্থি ভোটারের সমর্থন বৃদ্ধির অভিপ্রায়ে ট্রাম্প এমন আদেশ জারি করলেন। অভিবাসন বিরোধী জোরালো পদক্ষেপ নিলেই ট্রাম্পের ভোট ব্যাংক সংহত হয়। কারণ, অভিবাসীদের পক্ষ অবলম্বনকারি ভোটারের অনেকেই কেন্দ্রে যান না।