যুক্তরাষ্ট্রের পূর্বাঞ্চলীয় সমুদ্রতীরের দিকে ধেয়ে যাওয়া হারিকেন ইসাইয়াস মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিচ্ছে নর্থ ও সাউথ ক্যারোলাইনার উপকূলবর্তী বিভিন্ন এলাকার বাসিন্দারা।
ঝড়টি সোমবার স্থানীয় সময় রাতে সাউথ ক্যারোলাইনার উত্তর-পূর্ব এবং নর্থ ক্যারোলাইরানার দক্ষিণাঞ্চলের মধ্যে কোথাও আছড়ে পড়বে বলে পূর্বাভাসে জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল হারিকেন সেন্টার (এনএইচসি)।
ক্যারিবীয় দ্বীপপুঞ্জে আঘাত হেনে দুইজনের প্রাণ কেড়ে নেওয়ার পর ইসাইয়াস একটি ক্রান্তীয় ঝড়ে পরিণত হয়েছিল।
নতুন করে শক্তি অর্জন করার পর এটি এখন ঘণ্টায় ১২০ কিলোমিটার বাতাসের বেগ নিয়ে অগ্রসর হচ্ছে বলে বিবিসির এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
ইসাইয়াসের কারণে তুমুল বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সতর্ক করেছে এনএইচসি।
দুই ক্যারোলাইনার পূর্বাঞ্চলের নদীগুলোর বিস্তৃত অংশের পানি বেড়ে কোনো কোনো এলাকায় হঠাৎ বন্যাও দেখা দিতে পারে বলে আশঙ্কা করছে তারা।
উত্তর-পূর্ব সাউথ ক্যারোলাইনা ও নর্থ ক্যারোলাইনারে দক্ষিণাঞ্চলের কর্মকর্তারা ‘উপকূলরেখার কিছু অংশ ও এর সংলগ্ন নৌপথে প্রাণ-সংহারী ঝড় ও জলোচ্ছ্বাসের’ ব্যাপারে সতর্ক করেছেন।
আঘাত হানার পর হারিকেনটি দুর্বল হয়ে পড়বে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
হারিকেন মোকাবেলার পাশাপাশি বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের কর্মকর্তাদের এখন সামাজিক দূরত্বের নির্দেশনার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আশ্রয়কেন্দ্র খোলার ব্যাপারেও হিমশিম খেতে হচ্ছে।
কোভিড-১৯ এর মধ্যে প্রাকৃতিক দুর্যোগে কীভাবে বাড়িঘর ছেড়ে নিরাপদ আশ্রয়ে যেতে হবে এবং কী ধরনের প্রস্তুতি নিতে হবে, সে সংক্রান্ত নির্দেশনা দিয়েছে।
নতুন করোনা ভাইরাস থেকে সুরক্ষিত থাকতে সঙ্গে হ্যান্ড স্যানিটাইজার, সাবান, জীবাণুনাশক টিস্যু, প্রতি একজনের জন্য অন্তত দুটি মাস্ক রাখারও পরামর্শ দিয়েছে তারা।
আশ্রয়কেন্দ্রে থাকার সময় পরিবারের সদস্য নয় এমন যে কারও থেকে ৬ ফুট দূরত্বে থাকতে, সম্ভব হলে সার্বক্ষণিক মাস্ক পরতে এবং নিয়মিত তা পরিষ্কার রাখতে, খাবার ও পানীয় ভাগ করে না খেতে এবং আশ্রয়কেন্দ্রের যে অংশে থাকছেন সে অংশটুকু (সেখানে থাকা খেলনা এবং বিভিন্ন ইলেকট্রনিকস পণ্যও) একটু পর পর জীবাণুনাশক দিয়ে পরিষ্কার রাখতে বলা হয়েছে।