ভ্যাকসিন নিয়ে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা এবং পশ্চিমা দেশগুলো উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। এদিকে নিজেদের তৈরি ভ্যাকসিন কীভাবে কাজ করবে সেই বিষয়ে বিস্তারিত জানিয়েছে রাশিয়ার গামালায়া রিসার্চ ইন্সটিটিউট।
গিন্টসবার্গ বলেন, অ্যাডিনো ভাইরাসের ভিত্তিতে তৈরি নির্জীব কণা ব্যবহার হবে এই ভ্যাকসিনে। এই ভ্যাকসিন নিয়ে যাই সমালোচনা হোক না কেন, এতে মানব শরীরে কোনও ক্ষতি হবে না।গিন্টসবার্গ বক্তব্য অনুযায়ী, ভ্যাকসিন দেওয়ার পর অনেকের জ্বর আসতে পারে। কারণ শরীরে প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানোর জন্য ভ্যাকসিন দেওয়ার পর এটি একটি পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া।
প্রতিমন্ত্রী ওলেগ গ্রিদনেভ জানিয়েছেন, রাশিয়ার ভ্যাকসিন রেজিস্ট্রেশন পাওয়ার জন্য তৈরি হয়ে গিয়েছে। আপাতত তৃতীয় ধাপের পরীক্ষা চলছে ভ্যাকসিনের। সেটিও শেষের পথে। তারপরই বাজারে এসে যাবে টিকা।
স্বাস্থ্য কর্মীদের ওপর প্রথম মাসে এই টিকা প্রয়োগ করে দেখা হবে। বিপুল হাতে এই টিকা তৈরির কাজ শুরু হবে সেপ্টেম্বর মাস থেকে।
১২ অগাস্ট সরকারিভাবে ভ্যাকসিনের রেজিস্ট্রেশন দেওয়া হবে। আর আগে শেষ মুহূর্তে দেখে নেওয়া হচ্ছে এই ভ্যাকসিন মানুষের শরীরে নিরাপদ কি না। সবার আগে স্বাস্থ্যকর্মী ও বয়ষ্কদের এই ভ্যাকসিন দেওয়া হবে।
সাড়ে চার কোটির ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করবে রাশিয়া। এদিকে এই ভ্যাকসিন নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছে আমেরিকা। এর কার্যকারিতা কতটা হবে, তাই নিয়ে সন্দেহে রয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্পের দেশ। কিন্তু সব বিতর্ক এড়িয়ে শেষ পর্যন্ত করোনার ভ্যাকসিন আসতে চলেছে রাশিয়ার হাতেই।