‘১৯৪৭ সালের ১৪ আগস্ট মুহাম্মদ আলী জিন্নাহ ১২ শত মাইল দুরে বর্ডার রেখে দ্বিজাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে পোঁকায় খাওয়া পাকিস্তান নামে দুই মাথা ওয়ালা অাজব এক রাষ্ট্রের সৃষ্টি করলেন। যার জেরে বাংলা ও পাঞ্জাব ভাগ হল।
বাংলা, পাঞ্জাব, বিহার, দিল্লী সহ ভারতবর্ষের বিভিন্ন স্হানে ভয়াবহ সাম্প্রদায়িক দাংগায় প্রান হারালো দশ লাখের অধিক নিরীহ মুসলিম, হিন্দু ও শিখ। বাপ-দাদার ভিটা ছেড়ে উদ্বাস্তুু হল প্রায় দুই কোটি মানুষ। যাব জের এখনো চলছে। ৪৬ সালে ১৬ আগস্ট কলকাতায় মিঃ জিন্নাহর ডাইরেক এ্যাকশন ডে থেকেই সাম্প্রদায়িক দাংগা কলকাতা থেকে দাবানলের মতো সারা ভারতবর্ষে ছড়িয়ে পড়ে।
দেশভাগ হয়ে গেল কিন্তু ভারতে রয়ে গেল পাকিস্তানের ছেয়ে ও বেশী মুসলমান ২য় শ্রেণীর মনোবল হারা নাগরিক হিসাবে। জিন্নাহ পেল দেখতে ঠিক কুকুরের মত মানচিত্রের একটি ফৌজি ও প্রাসাদ যড়যন্তের দেশ। যা বর্তমান বিশ্বের ক্যান্সার। আমাদের সোনার বাংলাকে ভাগ করে পুর্ব বাংলাকে ১২ শত মাইল দুরের পাকিস্তানের সাথে জুড়ে দেওয়া হল। পাকিস্তানীদের তুলনায় বাঙালীর সংখ্যা বেড়ে যাবে বলে কলকাতার বদলে লাহোর নিয়ে জিন্নাহ গংরা হয়ে গেলেন বাক-বাকুম।
পাকিস্তান নামের মাঝে বাংলা ছিলনা। P তে পাঞ্জাব, A তে আফগানিস্তান মানে সীমান্ত প্রদেশ, K তে কাশ্মির, I তে ইন্দ্রাস মানে সিন্ধু, বেলুচিস্তানের STAN এ ভাবেই পাকিস্তান নামকরণ। এখানে B মানে বেংগল বা বাংলা নাই। পাঞ্জাবীদের অত্যাচার ও নিপীড়নে মাত্র
২৪ বছরের মাথায় ১৯৭১ সালে ৩০ লাখ বাঙালীর রক্তের বিনিময়ে বাংলাদেশ স্বাধীনতা লাভ করে।
অবিভক্ত বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী শেরে এ বাংলা এ কে ফজলুল হক কর্তৃক ১৯৪০ সালে উত্তাপিত লাহোর প্রস্তাবে ছিল ভারতের পুর্ব ও পশ্চিমের মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ট প্রদেশগুলো নিয়ে দুটি মুসলিম রাষ্ট্র গঠনের। যা থেকে পরে জিন্নাহ সরে দাড়ান এবং একক পাকিস্তানের দাবি তুলেন। ১৯৪৬ সালে মুসলিম লীগের দিল্লি অধিবেশনে লাহোর প্রস্তাব সংশোধন করে দুই পাকিস্তানের বদলে একক পাকিস্তানের প্রস্তাব পাশ করান।
৪৭ সালে অবিভক্ত বাংলার তৎকালীন প্রধানমন্তী হোসেন শহীদ সোহরাওর্য়াদী,শরৎ বসু,আবুল হাসিম, কিরন শংকর রায় ও তরুন শেখ মুজিবুর রহমানরা শেষ চেষ্টা করেছিলেন বাংলা ভাগ না করে বাংলা ও আসাম নিয়ে একটি স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের। যা কংগেস ও মুসলিম লীগের বিরোধীতায় হালে পানি পায়নি।’