ভারতীয়-আমেরিকান কমিউনিটিকে প্রভাবিত করতে বাইডেনের নির্বাচনী কার্যক্রম থেকে শনিবার এই ঘোষণা দেওয়া হয়েছে।ভারত এবং চীন থেকে প্রচুর মানুষ এই ভিসা নিয়ে দেশটিতে কাজ করছেন।
কর্মীজীবীদের জন্য যুক্তরাষ্ট্রে কাজের সুযোগ পেতে এইচ-১বি ভিসা প্রয়োজন হয়।
নভেম্বরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে আমেরিকায়। এই নির্বাচনে জিতে ক্ষমতায় যেতে পারলে এইচ-১বি ভিসা পদ্ধতি সংশোধন করার পাশাপাশি গ্রিনকার্ডের জন্য দেশভিত্তিক কোটা তুলে দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ডেমোক্র্যাটিক পার্টির প্রার্থী জো বাইডেন।
পারিবারিক-ভিত্তিতেও অভিবাসীদের বৈধতার পদ্ধতি নিয়ে কাজ করছেন বাইডেন।
ডেমোক্র্যাটিক দলের কোনও প্রেসিডেন্ট প্রার্থী এভাবে স্পর্শকাতর ইস্যু নিয়ে নির্বাচনী প্রচারে বক্তব্য দিলেন।
যুক্তরাষ্ট্রে আটটি স্টেটজুড়ে প্রায় ১.৩ মিলিয়ন ভারতীয় ভোটার আছেন।
শিল্পের জন্য এইচ-১বি ভিসা খুব গুরুত্বপূর্ণ। কারণ অন্যান্য দেশের প্রযুক্তি বিষয়ে পড়াশোনা করা মেধাবীদের মার্কিন প্রতিষ্ঠানগুলো এই ভিসার মাধ্যমেই চুক্তি ভিত্তিতে কাজে লাগাতে পারে। সেটা এমনকি বর্তমানের ট্রাম্প প্রশাসনেও।
তিনি স্থায়ী, কাজ-ভিত্তিক অভিবাসী এবং স্নাতকদের ভিসার সংখ্যা বাড়াবেন। শরণার্থীদের সংখ্যা বাড়ানোর কথাও জানিয়েছেন তিনি।
মার্কিন রাজনৈতিক জটিলতার কারণে ভিসাটি উদ্বিগ্নের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কারণ এই ভিসা প্রক্রিয়ার গুরুত্বপূর্ণ পদ্ধতি স্থগিত করা হয়েছে, যা প্রিমিয়াম প্রসেসিং নামে পরিচিত।
অতিরিক্ত ১ হাজার ২২৫ ডলার ফি দিলে ভিসা প্রক্রিয়া ১৫ দিনের মধ্যে সম্পন্ন হয়। সেজন্য অবশ্যই লটারিতে নির্বাচিত হতে হবে। আর অন্যদের জন্য অর্থাৎ নন-প্রিমিয়াম ভিসার জন্য তাতে আট মাস পর্যন্ত সময় লাগতে পারে।