কৌশলে তাইওয়ানের সঙ্গে ক্রমশ সম্পর্ক মজবুত করছে ট্রাম্প প্রশাসন। গত কয়েকদিন আগেই তাইওয়ান সফরে যান ট্রাম্প প্রশাসনের এক উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা। তাইওয়ানের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে দীর্ঘক্ষণ বৈঠক করেন।
আমেরিকার কাছ থেকে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান কিনতে চলেছে সে দেশ। আর সেজন্যে ছয় হাজার ২০০ কোটি ডলারের অস্ত্র চুক্তি করেছে তাইওয়ান।
বিগত কয়েক বছরে তাইপে এবং ওয়াশিংটনের মধ্যে এটি হচ্ছে সবচেয়ে বড় অস্ত্র চুক্তি।
জানা যাচ্ছে বিশাল সামরিক সরঞ্জাম কেনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তাইওয়ান।
নতুন চুক্তির আওতায় আমেরিকা তাইওয়ানের কাছে ৯০টি এফ-১৬ যুদ্ধবিমান বিক্রি করবে। বিশ্বের অন্যতম শক্তিশালী এবং অত্যাধুনিক যুদ্ধবিমানগুলির মধ্যে এফ-১৬ রয়েছে। মার্কিন এই সর্বাধুনিক এই যুদ্ধবিমানকে একাধিকবার আপগ্রেডেশন করা হয়েছে।
সামরিক চুক্তির কারণে তাইওয়ান ও আমেরিকার সঙ্গে চীনের উত্তেজনা কয়েক গুণ বেড়ে যাবে। এমনটাই আশঙ্কা সামরিক পর্যবেক্ষকদের।
তাইয়ানকে যেসব বিমান দেওয়া হবে তা হবে এফ-১৬ প্রযুক্তির সর্বাধুনিক ভার্সন। জানা যাচ্ছে, আগামী ১০ বছর ধরে তাইওয়ান এসব বিমান হাতে পাবে। এমনটাই ওয়াশিংটনের তরফে জানানো হয়েছে।
আমেরিকা সেই হুঁশিয়ারি একেবারে কানে নিতে নারাজ। গত বছরই তাইওয়ানকে আমেরিকা ৬৬টি এফ-১৬ বিমান সরবরাহ করার ইঙ্গিত দিয়েছিল। বেইজিং তখনই আমেরিকাকে তাইয়ানের সঙ্গে অস্ত্র চুক্তি করা থেকে বিরত থাকার আহ্বান জানায়। ফের একবার সেই পথেই ট্রাম্প প্রশাসন।
মার্কিন এই সিদ্ধান্তের পালটা তীব্র হুঙ্কার ছেড়েছে চীন। একেবারে কড়া ভাষায় আমেরিকাকে হুঁশিয়ারি বেইজিংয়ের। বেইজিংয়ের তরফে সাফ জানিয়ে দেওয়া হয়েছে যে, তাইওয়ানকে এফ-১৬ বিমান সরবরাহ করা হলে ওয়াশিংটনকে এর পরিণতি ভোগ করতে হবে। শুধু তাই নয়, রীতিমত যুদ্ধের হুঙ্কার বেইজিংয়ের।