অবশেষে ইউক্রেনীয় এয়ারক্রাফট ইরানীয় সেনাবাহিনীর কতৃক ভুলবশত মিসাইল আক্রমণের ফলে ভুপাতিত হয়েছে বলে স্বীকার করেছে ইরান।
ইরান সরকার এক বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে বিষয়টি স্বীকার করে তবে বর্ননায় ইউক্রেন এর এয়ারক্রাফট এর ভুল ইংগিত করে তারা।
ইরান তার শক্তিশালী রাডার এবং মিসাইল দ্বারা সিভিলিয়ান এয়ারক্রাফট ধ্বংসের মাধ্যমে নিজের সক্ষমতার যথার্থই প্রকাশ করেছে। এরই মধ্যে,বাংলাদেশে অবস্থিত ইরানীয়ান এম্বাসী মুসলিম বিশ্বের হয়ে বাংলাদেশের সমর্থন চেয়েছে। যদিও ডিপ্লোম্যাটিক ভাবে বাংলাদেশ সুসম্পর্ক বজায় রাখাকেই প্রায়োরিটি দিয়েছে। ইরান বাংলাদেশ এ পেট্রোলিয়াম এবং তৈলজাত পদার্থ রপ্তানি করে থাকে। যদি ইরান এবং যুক্তরাষ্ট্রীয় দ্বন্দ আরো অবনতি হয় তবে সারাবিশ্বজুড়ে পেট্রোলিয়ামজাত পদার্থের দাম বাড়বে আর তা নিশ্চিত। তাই পার্শ্ববর্তী ভারত, সৌদি-আরব, কাতার এ সকল দেশের সাথে যোগাযোগ রাখছে বাংলাদেশ সরকার এবং বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন।
ইতিমধ্যে দেশে ১ মাসের জন্য প্রয়োজনীয় পেট্রোলিয়াম মজুদ আছে। ইরান বিকল্প হিসেবে বেশ কিছু দেশ যাদের সাথে বাংলাদেশের চুক্তি রয়েছে তা পেট্রোলিয়াম প্রদানে ইতিমধ্যে সম্মত হয়েছে। যা নিয়ে চিন্তার কোন কারন নেই।
এছাড়া বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীসমূহকে আমেরিকান ইক্যুপমেন্ট প্রদানের জন্য, বাংলাদেশ-আমেরিকা উচ্চপর্যায়ের বৈঠক এখনো চলমান রয়েছে। আকসা এবং জিসোমিয়া নিয়ে বেশী কিছু জানা না গেলেও, এটাক হেলিকপ্টার আমেরিকা থেকে আসার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে। এছাড়া ব্রিটেনের রয়াল এয়ার ফোর্স এর সাথেও বিমানবাহিনীর আধুনিকায়ন নিয়ে উচ্চপর্যায়ের কথাবার্তা চলমান রয়েছে। ৮.১% গ্রোথ নিয়ে থাকা বাংলাদেশের মিলিটারি বাজেট বাড়তে যাচ্ছে জেনেই আমেরিকা কিংবা ব্রিটেনের মতো দেশ বাংলাদেশকে মিলিটারি পার্টনার করতে আগ্রহী। তবে যাই হউক,অদূর ভবিষ্যতে হাইটেক ইউরোপিয়ান টেকনোলোজি সামরিক বাহিনীতে যুক্ত হলে অবাক হওয়ার কিছুই রইবেনা।