তার বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র-মেক্সিকো সীমান্তে প্রাচীর নির্মাণে তহবিল সংগ্রহে জালিয়াতির অভিযোগ আনা হয়েছে। ব্যানন এবং আরো তিনজন মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণে তহবিল জোগাড়ের জন্য কয়েক হাজার মানুষের কাছ থেকে অবৈধভাবে অর্থ হাতিয়ে নিয়েছেন বলে অভিযোগ।
উই বিল্ড দ্য ওয়াল প্রচারণার মাধ্যমে প্রায় আড়াই কোটি ডলারের তহবিল সংগ্রহ করে ব্যানন ও অপর তিন ব্যক্তি লাখ লাখ ডলার জালিয়াতি করেছেন।
বিচার বিভাগের দাবি, ওই তহবিল থেকে প্রায় দশ লাখ ডলার নিজের ব্যক্তিগত ব্যয় নির্বাহের জন্য খরচ করেছেন ব্যানন।
২০১৬ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের সময় মেক্সিকো সীমান্তে দেয়াল নির্মাণের প্রতিশ্রুতি দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। ওই প্রতিশ্রুতি পূরণে তহবিল সংগ্রহের উদ্দেশে শুরু হয় ‘উই বিল্ড দ্য ওয়াল’স ক্যাম্পেইন। এই ক্যাম্পেইনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা হয় প্রায় আড়াই কোটি ডলার।
ওই তহবিল থেকে দাতাদের লাখ লাখ ডলার জালিয়াতির মাধ্যমে সরিয়ে নিয়েছেন স্টিভ ব্যানন, ব্রায়ান কোলফেজ, অ্যান্ড্রু ব্যাদোলাতো এবং টিমোথি শেয়া।
তহবিল জালিয়াতি ছাড়াও অর্থ পাচারের চক্রান্ত করার অভিযোগ আছে। দোষী সাব্যস্ত হলে এ দুই অভিযোগেই তাদের সর্বোচ্চ ২০ বছর করে কারাদণ্ড হতে পারে।
আনুষ্ঠানিক দায়িত্ব ছেড়ে ট্রাম্প প্রশাসনের মুখ্য কৌশল প্রণেতা হয়েছিলেন স্টিভ ব্যানন। সমালোচকরা ব্যাননকে একজন শ্বেতাঙ্গ জাতীয়তাবাদী ও ডানপন্থি বর্ণবিদ্বেষী বলে আখ্যায়িত করেন। মধ্যপন্থী বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হোয়াইট হাউসের ওয়েস্ট উইং-এর সঙ্গে দ্বন্দ্বে জড়িয়ে পড়ার পর তাকে সরিয়ে দিতে বাধ্য হয়েছিলেন ট্রাম্প।