ঋণের পরিমাণ দুই ট্রিলিয়ন পাউন্ড ছাড়িয়ে গেছে। এটি ব্রিটেনের জিডিপির শতকরা ১০০ ভাগ পেরিয়ে গেছে যার অর্থ হচ্ছে ব্রিটেনে প্রতিবছর যে পরিমাণ জাতীয় উৎপাদন হয় তার চেয়ে ঋণের পরিমাণ এখন বেশি।
১৯৬০-৬১ অর্থবছরের পর এই প্রথম ব্রিটিশ সরকার এত বিশাল পরিমাণের ঋণের কবলে পড়ল।
ব্রিটেনের অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স এই তথ্য জানিয়েছে।
মহামারি এবং তার প্রভাবে সরকার যে পরিমাণ অর্থ ব্যয় করেছে সেই কারণেই বিশাল অংকের এই ঋণ জমা হয়েছে।
মহামারীর কারণে ব্রিটেনে লম্বা সময় লকডাউন ছিল এবং সে সময় বেশিরভাগ সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীকে বসিয়ে বেতন দিতে হয়েছে। এ মুহূর্তে ব্রিটেনের প্রতি আটজন সরকারি চাকরিজীবীর মধ্যে একজন ছুটিতে রয়েছেন।
ব্রিটিশ সরকার সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের শতকরা ৮০ ভাগ বেতন পরিশোধ করেছে।
তবে বিরোধীদলগুলো এই সুবিধার মেয়াদ বাড়ানোর দাবি জানাচ্ছে। যদি অক্টোবর মাসে সরকারি সুবিধা বাতিল করা হয় তাহলে তার অর্থ দাঁড়াবে ব্রিটেনে আরও বহু মানুষ চাকরি হারাবে।
মন্দাবস্থা সৃষ্টি এবং ইউরোপীয় ইউনিয়ন থেকে বের হয়ে যাওয়ার পর লাখ লাখ ব্রিটিশ নাগরিকের মধ্যে এই উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়েছে যে, তাদের ভবিষ্যৎ ক্রমেই অনিশ্চিত হবে। এ অবস্থায় ব্রিটিশ সরকার দেশকে উদ্ধারের জন্য কি ব্যবস্থা নিতে পারে তা এখনও পরিষ্কার নয়।