ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাতের সমঝোতা চুক্তির পর গ্রিসের সঙ্গে সামরিক মহড়ায় অংশ নিচ্ছে আমিরাত। এর অংশ হিসেবে গ্রিসের গ্রেট উপত্যাকার বিমান ঘাঁটিতে এফ-১৬ যুদ্ধবিমান পাঠিয়েছে আরব আমিরাত।
দেশটির সাওদা অঞ্চলের উপসাগরীয় ঘাঁটিতে অবস্থান করবে যুদ্ধবিমানটি। অতঃপর পূর্বাঞ্চলের ভূমধ্যসাগরে গ্রিসের সঙ্গে সামরিক মহড়ায় অংশ নেবে।
তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে চরম উত্তেজনার সময় গ্রিসের সঙ্গে আমিরাতের সামরিক মহড়ায় অংশগ্রহণ তুরস্ককে বিপাকে ফেলবে বলে মনে করা হচ্ছে।
এদিকে যৌথ মহড়ায় নেতৃত্ব দিতে কনস্ট্যান্টিনো ফ্লোরোসের নিয়োগের পর প্রথমে শুভেচ্ছা জানান আমিরাতের সেনাবাহিনীর প্রধান।
সাওদা উপত্যাকায় ভূমধ্যসাগরে উভয় দেশের বিমানবাহিনীর সহায়তায় কিছু দিন সামরিক মহড়া চলবে।
মিশর, ইসরায়েল ও গ্রিসের মধ্যে ভালো সম্পর্ক থাকায় ভূমধ্যসাগরে সব দেশের উপস্থিতি থাকবে। তাছাড়া ইসরায়েলের সঙ্গে আমিরাতের নতুন সম্পর্কের কারণে গ্রিস আমিরাত থেকে যথাযথ সুবিধা লাভের চেষ্টা করছে।
গ্রিসকে কেউ হুমকি দিতে চাইলে সাওদা ঘাঁটিতে অবস্থান করা জেট বিমানটি নির্ভুলভাবে সংকেত দেবে।
১০ আগস্ট তুরস্ক নিজেদের দাবি করা সীমারেখায় সম্ভাব্য তেল-গ্যাস পরিমাপের জন্য একটি যুদ্ধ জাহাজ পাঠায়। ইউরোপীয় ইউনিয়ন তুরস্ককে বিবাদমান স্থানে নিজেদের তৎপরতা বন্ধ করতে বললেও আগস্টের ২৩ তারিখ পর্যন্ত সাইপ্রাস ও ক্রেট অঞ্চলে নিজেদের কার্যক্রম অব্যাহত রাখবে বলে জানায় তুরস্ক। এমনকি গত সপ্তাহে তুরস্ক ও গ্রিসের মধ্যে হালকা সংঘাতও হয়।