অসুস্থতাজনিত কারণে পদত্যাগের ঘোষণা দিয়েছেন জাপানের প্রধানমন্ত্রী শিনজো আবে। শুক্রবার এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেন তিনি।
তবে নতুন প্রধানমন্ত্রী নির্ধারণ না হওয়া পর্যন্ত তিনি দায়িত্ব পালন করবেন বলে জানা গেছে। আবের পদত্যাগের ঘোষণার পরেই কে হচ্ছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী তা নিয়ে শুরু হয়েছে জল্পনা।
২০১২ সাল থেকে একটানা জাপানের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন শিনজো আবে। এর আগে ২০০৬ সালেও প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হয়েছিলেন আবে, তবে সে সময় এক বছরের বেশি ক্ষমতায় থাকতে পারেননি।
২০১২ সাল থেকে তার দল জনপ্রিয়তার কারণেই রাষ্ট্রক্ষমতায় খানিকটা অপ্রতিদ্বন্দ্বী হয়ে ওঠে।
৬৫ বছরের আবে যখন শারীরিক অসুস্থতার কথা বলে পদত্যাগ করছেন তখন ৭৯ বছরের ডেপুটি প্রধানমন্ত্রী তারো আসো প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব নেবেন কিনা। আবে সরকারের মেয়াদও খুব বেশিদিন নেই।
২০২১ সালেই শেষ হচ্ছে লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) সরকারের মেয়াদ। তাই নতুন প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত করা হবে মাত্র এক বছরের জন্য। এর পরই আবার দেশটিতে অনুষ্ঠিত হবে জাতীয় নির্বাচন।
বেশ কয়েকজনের নাম আসছে জাপানের প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে। তবে দেশটির ক্ষমতাসীন এলডিপি সরকার মাত্র একমাস সময় পাবেন নতুন প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেয়ার জন্য। এই কাজ করতে হলে তাদের সংসদে ভোটাভুটি করার বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
কিন্তু সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রীর তালিকায় যাদের নাম দেখা যাচ্ছে তাদের মধ্যে রয়েছেন ৩৯ বছরের এক তরুণও। এই তরুণের নাম শিনজিরো কইজুমি। বর্তমানে তিনি দেশটির পরিবেশমন্ত্রী হিসেবে কাজ করছেন।
রাজনৈতিক পরিবারে জন্ম নেয়া এই তরুণ বেশ কয়েকটি সংস্কার মূলক কাজ করে দেশটিতে প্রশংসা কুড়িয়েছেন। শিনজো আবে’র সরকারে থেকেও তিনি আবের নেয়া কয়েকটি পদক্ষেপের বিপরিতে মতামত দিয়ে সফলতা পেয়েছেন। যদিও তার এসব সংস্কারমূলক কাজে দলটির অনেক জ্যেষ্ঠ নেতা সন্তুষ্ট নন।
অন্যদিকে জাপানের বিতর্কিত ইয়াসুকুনি মন্দিরে শ্রদ্ধা জানিয়ে সমালোচনার মুখে পড়া এই নেতা জাপানের জীবাশ্ম জ্বালানির নতুন যুগের সুচনা করেন।
প্রধানমন্ত্রী হওয়ার দৌড়ে এগিয়ে রয়েছে শিনজো আবের সমালোচক এক নারীও। দেশটির প্রথম নারী প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনের ইচ্ছে প্রকাশ করা ৫৯ বছর বয়সী সেইকো নোদা’কে নিয়েও আলোচনা কম নয়।
তিনি দেশটির সাবেক অভ্যন্তরীণ মন্ত্রী এবং ২০১৮ সালে এলডিপি’র প্রেসিডেন্ট হিসেবে শিনজো আবের বিরুদ্ধে লড়ার জন্য মনোনয়ন জমা দেন। দেশটিতে নারীর ক্ষমতায়ন নিয়ে নানা কাজ করে প্রশংসিত হয়েছেন তিনি।