সৌদি আরবের প্রিন্স আব্দুল্লাহ বিন সুলতান বিন নাসের আস-সাউদ দাবি করেছেন, ইরানের সামরিক শক্তির চেয়ে তার দেশ অনেক এগিয়ে রয়েছে এবং যুদ্ধ শুরু হলে রিয়াদ আট ঘণ্টার মধ্যে ইরানকে সম্পূর্ণভাবে ধ্বংস করে দিতে সক্ষম। গত বৃহস্পতিবার আরবি ভাষায় লেখা এক টুইটার পোস্টে সৌদি প্রিন্স এ দাবি করেন।
২০১৬ সালে সম্প্রচারিত সৌদি আরবের চ্যানেল-২৪এ সম্প্রচারিত একটি ভিডিওর বরাত দিয়ে তিনি একথা বলেছেন। ওই ভিডিওতে সৌদি আরবের এফ-১৫ জঙ্গিবিমান এবং ইরানের এফ-৪ ফ্যান্টম জঙ্গিবিমানের তুলনা করে সৌদি আরবের একজন বিশ্লেষক বলেছিলেন, ইরানের অস্ত্র ও সামরিক যন্ত্রপাতি অনেক পুরনো; সে তুলনায় সৌদি আরবের অস্ত্র এবং সামরিক সরঞ্জাম অনেক আধুনিক।
সৌদি প্রিন্স আব্দুল্লাহ বিন সুলতান আরো বলেন, মাঝে আরো দু’বছর চলে গেছে এবং এ সময়ে সৌদি আরব বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কিনেছে, নৌ শক্তি, স্থল ও বিমানবাহিনীকে অত্যাধুনিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে সজ্জিত করেছে। সৌদি প্রিন্স দাবি করেন- “যা গোপন আছে তা হচ্ছে অনেক বড় কিছু, বিশ্বে এমন কোন বাহিনী নেই যারা আমাদের ঐক্যের ধারেকাছে দাঁড়াতে পারে। আমাদের দৃঢ়তা আমাদের সতর্কতার জন্য আল্লাহকে ধন্যবাদ।
২০১৫ সালে সৌদি আরব প্রতিবেশী ইয়েমেনের হুতি সম্প্রদায়ের সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে। হুতিদের অস্ত্র ও ইন্দন দিচ্ছে ইরান। হুতি সম্প্রদায় বরাবরের মত সৌদি আরবের জন্য হুমকি সরূপ। সৌদি আরব এর বিভিন্ন তেল স্থাপনায় হামলা চালায় হুতিরা। ইয়েমেন সরকার সৌদি আরবকে সহযোগীতা করলেও ইয়েমেনের ছোট গোত্র হুতিদের নিয়ন্ত্রন করতে ব্যর্থ ইয়েমেন সরকার। ইয়েমেনের দাবি, ইরান হুতিদের অস্ত্র, মিসাইল দিয়ে উস্কে দিচ্ছে। চার বছর পার হয়ে গেলেও সে যুদ্ধে লক্ষ্য অর্জন করতে পারে নি সৌদি সরকার।