বিশ্বের ভূখণ্ডে পা রাখাই নয়, চীন এবার মাটি ছাড়িয়ে অন্তরীক্ষেও আগ্রাসী আস্ফালন দেখাতে প্রস্তুতি নিচ্ছে। তাদের যুদ্ধনীতির নতুন ধাঁচ এবার এক নতুন বিদ্যা যোগ হচ্ছে।
একনজরে দেখে নেওয়া যাক, চীন কোন যুদ্ধবিদ্যায় ভর করে এগিয়ে যাচ্ছে। ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে একাধিক মহাকাশ যান ও মহাকাশ সমরাস্ত্র নিয়ে তোড়জোড় চালিয়েছে চীনের সেনা।
৪০ টির মধ্যে ২২ টি স্পেস ভেহিক্যাল চীন ইতিমধ্যেই উৎক্ষেপণ করেছে।
৮ বিলিয়ন মার্কিন ডলার খরচ করে চীন যে মহাকাশ অভিযানের একাধিক প্রযুক্তি ও সমরাস্ত্র মিশিয়ে দিচ্ছে, তা নিয়ে অনেক তথ্যই বাইরে আসতে দিচ্ছে না।
এই তথ্যাদির মধ্যে অন্যতম হল , চীনের মহাকাশ গবেষণা ও মহাকাশ যানের উৎক্ষেপণের নেপথ্য রয়েছে চীনের সেনা। আর সেনার মদতেই এবার অন্তরীক্ষে প্রতিরক্ষার দাপট দেখাতে চাইছে বেইজিং।
চীন মনে করে যে সামরিক পেশীশক্তির হাত ধরেই রাষ্ট্রশক্তি বজায় থাকে। বর্হিবিশ্বেও যাবতীয় নীতিকে অধীনে রাখে সামরিক শক্তি।
আর সেই শক্তিতে ভর করে চীনের বেইডুয়ো স্যাটেলাইট মহাকাশে দাপট দেখাচ্ছে। ৩০টি এমন স্যাটেলাইট মহাকাশ থেকে চীনকে বহু গোপন লোকেশন সম্পর্কে যেমন খোঁজ পাঠায় , তেমনই শর্ট মেজেস সিস্টেণ ও ব়্যাপিড পজিশনিং সম্পর্কেও তথ্য দেয়।
শত্রুপক্ষের গোপন লোকেশন, পিএনসি সার্ভিস, সমস্ত কিছুই যুদ্ধের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়। আর এই সমস্ত বহু গোপন সার্ভেইলেন্স চালানোর একমাত্র উপায় স্যাটেলাইট। যার জন্য প্রয়োজন স্পেশ মিশন।
আর তার হাত ধরে চীন যুদ্ধনীতিতে বিশ্বে বড়সড় ‘তাণ্ডব’ আনতে চাইছে। ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ার চীনের কেন্দ্রীয় সেনা চাইছে ইলেকট্রনিক ওয়ারফেয়ারের হাত ধরে যাবতীয় প্রয়োজনীয় ডেটা নিজের ঘরে তুলতে।
যার জন্য উন্নত প্রযুক্তির স্পেশ মিশন প্রয়োজন। স্পেস নির্ভর বহু অ্যাসেটকে চীন নিশানায় রাখার মতো ক্ষমতা ধীরে ধীরে বাড়িয়ে যাচ্ছে।
ফলে আগামীর যুদ্ধে তারা ভুখণ্ডের লড়াই নয়, মহাকাশের লড়াইয়ে দখলদারি জিতে নিয়তে চাইছে।