লাদাখ নিয়ে প্রায় চার মাস ধরে চলছে চিনের সঙ্গে টানাপড়েন। শনি-রবিবার রাতেও আগ্রাসনের চেষ্টা চালিয়েছে চিনা বাহিনী।
তার মধ্যেই বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বললেন, একটা বোঝাপড়ার মাধ্যমে সমঝোতায় আসা উচিত দু’দেশেরই। ভারত-মার্কিন স্ট্র্যাটেজিক পার্টনারশিপ ফোরামে বিদেশমন্ত্রী বলেন, সারা বিশ্বের মতো ভারতও চিনের বাড়বাড়ন্ত নিয়ে ওয়াকিবহাল।
যদিও একই সঙ্গে ভারতের শক্তিবৃদ্ধির কথাও উল্লেখ করেছেন জয়শঙ্কর।
দীর্ঘদিন ধরে তার প্রভাব ও শক্তি বাড়িয়েছে, ভারতও পিছিয়ে নেই বলে মনে করেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী। বরং সমান তালে বেড়ে উঠেছে জানিয়ে জয়শঙ্কর বলেন, গত ৩০ বছরের ইতিহাস দেখুন। ভারতের প্রভাব বৃদ্ধিও কিন্তু বিশ্বের নজর কেড়েছে।
যদি দু’টো দেশে ১০০ কোটির বেশি মানুষ থাকে এবং তাদের একটা দীর্ঘ ইতিহাস ও সংস্কৃতি থাকে, তা হলে তাদের পক্ষে গুরুত্বপূর্ণ হল একটা সমঝোতা ও সমতায় পৌঁছনো।যদিও পূর্ব লাদাখে চিনের সঙ্গে সাম্প্রতিক সংঘাত নিয়ে কিছু বলতে চাননি জয়শঙ্কর।
চিনের প্রভাব বৃদ্ধি, ভারতে তার প্রভাব এবং নয়াদিল্লি-বেজিং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক নিয়ে কথা বলছিলেন বিদেশমন্ত্রী। তিনি বলেন, অবশ্যই বিশ্বের অন্যান্য দেশের মতো ভারতও চিনের প্রভাব বৃদ্ধি নিয়ে ওয়াকিবহাল। আমরা চিনের সরাসরি প্রতিবেশী।
সুতরাং প্রতিবেশীর উপর সেই বৃদ্ধির প্রত্যক্ষ প্রভাব পড়বে। আমি আমার প্রকাশের অপেক্ষায় থাকা বইতেও সেই কথা লিখেছি।দি ইন্ডিয়া ওয়ে: স্ট্র্যাটেজিস ফর অ্যান আনসার্টেন ওয়ার্ল্ড’ নামে একটি বই লিখেছেন কূটনীতিক-রাজনীতিবিদ জয়শঙ্কর। শীঘ্রই সেই বইটি প্রকাশিত হবে।
বিষয়টি আমাদের কাছে উদ্বেগের বিষয় ছিল। তবে এটা নতুন কিছু নয় এবং অবশ্যই এটা দু’দেশের (চিন ও পাকিস্তান) সঙ্গেই দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে প্রভাব ফেলে।
আমেরিকার সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রসঙ্গে বিদেশমন্ত্রীর বক্তব্য, বিনিয়োগ, প্রযুক্তি, প্রতিরক্ষা, নিরাপত্তা থেকে শুরু করে প্রায় সব ক্ষেত্রেই ভারত-মার্কিন সম্পর্ক দৃঢ় হচ্ছে। তিনি বলেন, আমরা মনে করি দু’দেশের সম্পর্ক নির্দিষ্ট কোনও ক্ষেত্র বা পরিস্থিতিতে সীমাবদ্ধ নেই।
ভারত-মার্কিন দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের এই উন্নতি সারা বিশ্বের বৃহত্তর মঙ্গল করবে বলেও মনে করেন জয়শঙ্কর।