ইসরায়েলের চলমান আগ্রাসন, ভূমিদখল ও কোভিড-১৯ মহামারিতে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে ফিলিস্তিনের গাজা উপত্যকায়।
এই সংকটকালে গাজাকে বাঁচানোর জন্য বিশ্ব সম্প্রদায়ের কাছে আকুতি জানিয়েছে দ্য ইন্টারন্যাশনাল কমিটি টু সাপোর্ট গাজা।
কমিটির প্রধান ইশাম ইউসেফ বিবৃতি দিয়ে এ আহ্বান জানিয়েছেন।
জরুরি ত্রাণ সরবরাহ ত্বরান্বিত করার পাশাপাশি দরিদ্র পরিবারের জন্য খাদ্য সহায়তা এবং পার্সেল সরবরাহ করতে আন্তর্জাতিক দাতব্য সংস্থাগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন কমিটির প্রধান ইশাম ইউসেফ।
মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক সংবাদ পর্যবেক্ষণ সংস্থা মিডল ইস্ট মনিটর এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে।
গত তিন সপ্তাহ ধরে গাজার নিরাপত্তা পরিস্থিতির ভয়াবহ অবনতি হয়েছে। উপত্যকা থেকে বেলুনে করে বিস্ফোরক পাঠানোর পর ইসরায়েলের সেনাবাহিনী অঞ্চলটির বিভিন্ন অংশে নিয়মিত বোমা হামলা করছে।
হামলায় কয়েকজন নিহত ছাড়াও অনেকে আহত হয়েছেন। দিন দিন পরিস্থিতির আরও অবনতি হচ্ছে।
গাজা উপত্যকায় চলমান সহিংস হামলা ও শত্রুতাপূর্ণ পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন মধ্যপ্রাচ্যে জাতিসংঘ শান্তি প্রক্রিয়া বিষয়ক কর্মসূচির প্রধান নিকোলাই ল্যাডেনোভ।
যুদ্ধবিরতি চুক্তি অনুযায়ী গাজার ভূমি দখল বন্ধ করার কথা থাকলেও ইসরায়েলি বাহিনী তা দখল করে আগ্রাসন চালাচ্ছে। এর প্রতিবাদে তারা বেলুনে করে বিষ্ফোরক পাঠাচ্ছে যাতে ইসরায়েল তা বন্ধ করে।
তবে উপত্যকায় বেপরোয়াভাবে নিয়মিত বোমা হামলা চালাচ্ছে ইসরায়েলের সেনাবাহিনী।
গাজায় জ্বালানি ও ভবন নির্মানসামগ্রী ঢোকা সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়ে সেখানে ভূমি দখল করার সিদ্ধান্তে আরও কঠোর হয়েছে ইসরায়েল সরকার। এ ছাড়া তার সমুদ্র সম্পূর্ণ বন্ধ করে দিয়েছে এবং মৎসজীবিদের মাছ ধরতে দিচ্ছে না। অনেক পরিবার এ নিয়ে পড়েছে মারাত্মক সংকটে।
ফিলিস্তিনের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেওয়া হিসাব অনুযায়ী গোটা ফিলিস্তিনে এখন পর্যন্ত প্রায় ২৩ হাজার মানুষ করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে মারা গেছেন ১৯২ জন। সুস্থ ১৫ হাজার। এদিকে শুধু গাজায় কোভিড-১৯ পজিটিভ ১৯২ জনের মধ্যে ৩ জনের প্রাণহানি হয়েছে। আক্রান্তদের ৭২ জন এখন সুস্থ।