নতুন করে লাদাখ সীমান্তে শুরু হয়েছে উত্তেজনা। লাইন-অব-কন্ট্রোলের ঘটনার মাঝেই নেপাল, ভুটান সীমান্তে নিশ্ছিদ্র নজরদারি শুরু করেছে ভারত।
সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় সেনাবাহিনীকে সতর্ক থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্র জানা গেছে, অগাস্টের শেষের দিক থেকে কমপক্ষে তিনবার ভারতে প্রবেশের চেষ্টা চালিয়েছে চীন।
ভারতের দিকে এগিয়ে আসতে দেখা গেছে অন্তত ৭ থেকে ৮টি চীন সেনার হেভি ভেইকল। চীনের চেপুঞ্জি ক্যাম্প থেকে গাড়িগুলো এগিয়ে আসছে।
ভারতীয় সেনাবাহিনীও তৈরি রেখেছে। যে কোনও ধরনের অনু্প্রবেশ রুখতে সব ব্যবস্থা করে রাখা হয়েছে।
সেনা মোতায়েন একধাক্কায় অনেকটা বাড়িয়ে দেয়া হয়েছে। বিতর্কিত জায়গার দখল ইতিমধ্যেই নিয়েছে ভারত।
মঙ্গলবার সীমান্তে ফের উত্তেজনা দেখা দিলে শুরু হয় দফায় দফায় বৈঠক। সেই বৈঠকেই চীনের সঙ্গে অন্যান্য সীমানায় নজরদারি বাড়ানো হয়েছে।
চীন, নেপাল, ভুটান নিয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীতে জারি হয়েছে হাই অ্যালার্ট।
ইন্দো-তিব্বতীয় বর্ডার পুলিশকেও এই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। উত্তরাখণ্ড, অরুণাচল প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, লাদাখ এবং সিকিম, এমনক্কি ইন্দো-নেপাল এবং ভুটান সীমান্তে নজরদারিতে কর্মরত শসস্ত্র সীমা দলকেও সতর্ক করা হয়েছে। নজরদারি আরও বাড়াতে বলা হয়েছে।
প্যাংগং লেক নিয়ে ব্রিগেড কম্যান্ডার স্তরে বৈঠক চুশুল/ মল্ডোতে হবে, এমনটাই জানা গেছে ভারতীয় সেনা সূত্রে। চীনের অনুপ্রবেশের চেষ্টা ব্যর্থ করতে সফল হয়েছে ভারত।
নতুন করে দুই দেশের চাপ বাড়ায় মিলিটারি স্তরে বৈঠক শুরু হয়েছে। সোমবার এবং মঙ্গলবার এই দু’দিনের আলোচনায় বিশেষ গুরুত্বপূর্ণ কোনও ফলাফল আসেনি।