নতুন শ্রমনীতি আইন সংস্কারের ঘোষণা দিয়েছে দেশটির আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানি। গত ৩০ আগস্ট তিনি এ ঘোষণা দেন।
এর আগে কেউ কোম্পানি পরিবর্তন করতে চাইলে নো অবজেকশন সার্টিফিকেট (এনওসি) লাগতো। কিন্তু এই আইন সংস্কারের ফলে এখন আর এনওসি’র প্রয়োজন নেই।
শ্রমিকরা নিজেদের পছন্দমতো চাকরি পরিবর্তন করতে পারবেন। তবে সরকারি গেজেট প্রকাশের ৬ মাস পর কার্যকর হবে এই নতুন আইন।
ফলে বাংলাদেশিসহ সব অভিবাসী শ্রমিকদের অধিকার সুরক্ষার এক নতুন সম্ভাবনা তৈরি হবে। এ আইন সংস্কার কার্যক্রমের আওতায় সাত দশকের পুরনো কাফালা পদ্ধতির অবসান ঘটবে।
প্রতিষ্ঠিত হবে বৈষম্যহীন মজুরি ও শ্রম অধিকার। এতে উপকৃত হবেন প্রবাসী বাংলাদেশিরা।
অন্যদিকে শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মজুরি এক হাজার রিয়াল এবং বাসস্থান খাবার বাবদ আরও আটশ রিয়াল নির্ধারণ করা হয়েছে। তবে কোম্পানি যদি শ্রমিকদের থাকা খাবার ব্যবস্থা করে তাহলে এক হাজার রিয়াল বেতন পরিশোধ করতে হবে কোম্পানিকে।
আর বাংলাদেশ কমিউনিটির নেতারা মনে করেন নতুন এই আইনের ফলে উপকৃত হবার পাশাপাশি ন্যায্য মজুরি পাবেন প্রবাসীরা।
কাতারে বর্তমানে সাড়ে ৪ লাখের মত বাংলাদেশি বিভিন্ন পেশায় কর্মরত রয়েছেন। তাদের মধ্যে ৭৫ শতাংশই নির্মাণশিল্পে জড়িত।