ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড ও লেবাননের রাজনৈতিক এবং সামরিক ঘটনাবলী নিয়ে হামাস ও হিজবুল্লাহ নিয়ে দু নেতা আলোচনা করেন। এছাড়া, কথিত ডিল অব দ্যা সেঞ্চুরি বা শতাব্দির সেরা চুক্তি, ইহুদিবাদী ইসরাইলের সঙ্গে আরব সরকারগুলোর সম্পর্ক স্বাভাবিক করার উদ্যোগ এবং তেল আবিবের হুমকির মুখে আন্তর্জাতিক মুসলিম সম্প্রদায়ের দায়িত্ব নিয়েও প্রতিরোধ আন্দোলনের স্বানমধন্য দু নেতা আলাচনা করেন।
ফিলিস্তিনের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হামাস ও লেবাননের ইসলামি প্রতিরোধ আন্দোলন হিজবুল্লাহর মধ্যে সম্পর্ক আরো জোরদার করার বিষয়ে ঐকমত্য হয়েছে। হামাস প্রধান ইসমাইল হানিয়া ও হিজবুল্লাহর মহাসচিব সাইয়্যেদ হাসান নাসরুল্লাহর মধ্যে এক বৈঠকে এ সমঝোতা হয়। দুই সংগঠনের অভিন্ন শত্রু ইসরাইলের পক্ষ থেকে যখন দিন দিন হুমকি বেড়ে চলেছে তখন প্রতিরোধকামী সংগঠন দুটির মধ্যে সহযোগিতার বিষয়ে ঐকমত্য হলো।
লেবাননের আরবি ভাষার অনলাইন পত্রিকা আল-নাশরাহ গত (রোববার) এক রিপোর্টে এ তথ্য জানিয়েছে। ফিলিস্তিনের জনগণ ও বৃহত্তর মুসলিম বিশ্ব যে হুমকির মুখে রয়েছে তা মোকাবেলায় ইসমাইল হানিয়া ও হাসান নাসরুল্লাহ প্রতিরোধ ফ্রন্টের দৃঢ়তা ও শক্তি অর্জনের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
পরে হিজবুল্লাহ এক বিবৃতিতে বলেছে, দুই প্রতিরোধকামী সংগঠনের মধ্যকার সম্পর্ক অবশ্যই সহযোগিতা ও লড়াইয়ের ওপর ভিত্তি করে গড়ে ওঠা দরকার বলে গুরুত্বারোপ করেছেন দু নেতা।