চীন-মার্কিন ক্রমবর্ধমান বৈরিতার পরিণতি ভোগ করতে হচ্ছে উচ্চশিক্ষার জন্য আমেরিকায় পড়তে যাওয়া লাখ লাখ চীনা শিক্ষার্থীকে।
চীনা সেনাবাহিনীর সঙ্গে সম্পর্ক এবং গুপ্তচরবৃত্তির অভিযোগে সম্প্রতি আমেরিকা এক হাজারেরও বেশি চীনা শিক্ষার্থী এবং গবেষকের ভিসা বাতিল করেছে বলে জানিয়েছে।
প্রথম চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা বাতিলের বিষয়টি সরকারিভাবে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। যদিও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের এমন সিদ্ধান্তের প্রতিক্রিয়া কী হবে সে বিষয়ে এখনো কিছু জানায়নি চীন।
এক বক্তব্যে মার্কিন হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের ভারপ্রাপ্ত সচিব চ্যাড ওল্ফ বলেছেন, ‘চীনের সেনাবাহিনীর সঙ্গে যোগসাজশ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশুনার নামে এসে গোপন ও বৌদ্ধিক তথ্য হাতানোর দায়ে পয়লা জুন থেকে এখনো পর্যন্ত এক হাজার চীনা শিক্ষার্থীর ভিসা বাতিল করা হয়েছে।
গত কয়েক মাস ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। এরই মধ্যে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা প্রতিষ্ঠানে কর্মরত চীনের বেশ কয়েকজন গবেষক ও শিক্ষার্থীকে জাতীয় নিরাপত্তার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য হাতানোর অভিযোগে গ্রেপ্তার করেছে মার্কিন নিরাপত্তা বাহিনী।
ট্রাম্প প্রশাসনের এমন পদক্ষেপের বিরুদ্ধে অবশ্য তীব্র প্রতিবাদ জানিয়েছে বেইজিং।
ট্রাম্প জানিয়ে দিয়েছিলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পড়াশুনার জন্য চীনা শিক্ষার্থীদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে আরো কড়াকড়ি আরোপ করা হবে।
মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মাইক পম্পেও জানিয়েছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অধ্যয়নরত চীনা শিক্ষার্থীরা কী করছে, তার উপরে নজরদারি চালানো হবে। শুধু মুখে বলেই ক্ষান্ত থাকেননি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দুই শীর্ষ নেতা। দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়ে তথ্য চুরি হচ্ছে কি না, সে দিকে খেয়াল রাখারও নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
চীনা ছাত্রদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে যুক্তরাষ্ট্র কড়া মনোভাব আগেই নিয়েছিল। কিন্তু কতজন ছাত্রের ভিসা বাতিল হয়েছে, সে বিষয়ে দীর্ঘদিন পর্যন্ত তথ্য দেয়নি আমেরিকা। বুধবার প্রথম যুক্তরাষ্ট্র এ বিষয়ে তথ্য প্রকাশ করে। সেখানেই জানা যায়, ১ হাজার ছাত্রের ভিসা বাতিল হয়েছে।