করোনাভাইরাস ছড়িয়ে যাওয়ার জেরে লকডাউনের ফলে বিরূপ প্রভাব পড়ছে ভারতের শিশুদের ওপর।
শিশুশ্রম যেমন বাড়ছে, বাল্যবিয়ের হারও বৃদ্ধি পাচ্ছে সে দেশে।
মাত ১৩ বছর বয়সী রানিকে তার পরিবার থেকে বিয়ের জন্য চাপ দেওয়া হয়। তবে রানি অন্যদের সহায়তায় নিজের বিয়ে থামাতে পেরেছে।
অষ্টম শ্রেণিতে পড়া রানির স্কুলে যাওয়া বন্ধ হয়ে যায় চলতি বছরের মার্চে লকডাউন শুরু হলে। তারপর পরিবার থেকে তার বিয়ের জন্য চাপ আসতে থাকে।
রানি এ ব্যাপারে জানায়, হুট করেই আমার বিয়ের তোড়জোড় শুরু হয়ে যায়।
আমি বুঝি না, কেন সবাই মেয়েদের বিয়ের জন্য এত অল্প বয়সেই উঠেপড়ে লাগে।
ভারতে মেয়েদের বয়স ১৮ বছর হওয়ার আগে বিয়ে দেওয়া অন্যায়। কিন্তু দেশটিতে সবচেয়ে বেশিসংখ্যক বাল্যবিয়ে হয়।
ইউনিসেফের তথ্যানুসারে প্রতিবছর ভারতে ১৫ লাখের বেশি মেয়ের বিয়ে ১৮ বছর বয়সের আগেই হয়ে যায়।
এ বছর অন্য বছরের তুলনায় এরই মধ্যে ১৭ শতাংশ বাল্যবিয়ে বেড়েছে। এক কোটির বেশি মানুষ ভারতের বিভিন্ন শহর ছেড়ে গ্রামে ফিরে গেছে।
অনেকেই কর্ম হারিয়ে বেকার হয়ে পড়েছে। ফলে মেয়েদের নিয়ে তারা শঙ্কায় পড়ে গিয়ে বিয়ে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, চরম সংকটের মধ্যে অভিভাবকরা যখন মেয়ের বিয়ের প্রস্তাব পাচ্ছে, তখন আর না করতে পারছে না। মেয়ের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে বিয়ে দেওয়ার জন্য রাজি হয়ে যাচ্ছে।