রাশিয়ার তৈরি করোনা ভ্যাকসিন স্পুটনিক-৫ নেওয়া স্বেচ্ছাসেবকদের অনেকের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে।
প্রতি সাতজন স্বেচ্ছাসেবকের একজনের শরীরে সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন রাশিয়ার স্বাস্থ্যমন্ত্রী মিখাইল মুরাশকো। যদিও তাঁর দাবি, স্বেচ্ছাসেবকদের শরীরে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও ‘স্পুটনিক-৫’ যথেষ্টই নিরাপদ এবং কার্যকরী।
সাক্ষাৎকারে রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের তৈরি ‘স্পুটনিক-৫’ ভ্যাকসিন যাদের শরীরে প্রয়োগ করা হয়েছিল তাদের মধ্যে শতকরা ১৪ জন সামান্য পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ায় আক্রান্ত হয়েছেন।
আক্রান্তদের মধ্যে দুর্বলতা, ২৪ ঘন্টা মাংসপেশীর ব্যথা, কখনো কখনো শরীরে তাপমাত্রা বৃদ্ধির মতো লক্ষণ দেখা গেছে।
তবে সেই সঙ্গে রুশ স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দাবি, স্পুটনিক-৫’ গ্রহণকারী স্বেচ্ছাসেবকদের একাংশের শরীরে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া দেখা গেলেও তা ততটা আশঙ্কাজনক নয়।
স্বাভাবিক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া। রাশিয়ার ভ্যাকসিন এখনও নিরাপদ। বিশ্বে তাদের যেসব প্রতিদ্বন্দ্বী আছে তাদের তুলনায় নিরাপদ।
‘স্পুটনিক-৫’ তৈরির কাজে নিয়োজিত গবেষকরা জানিয়েছেন, ‘এখনও পর্যন্ত মাত্র ৩০০ স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে করোনার ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হয়েছে।
মোট ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে ওই ভ্যাকসিন প্রয়োগ করা হবে। বিপুল সংখ্যক স্বেচ্ছাসেবকের শরীরে প্রয়োগের পরেই পর্যবেক্ষণ সম্পর্কে আরো নিশ্চিত হওয়া যাবে।
মাত্র দুই দফার ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল শেষে করোনার প্রতিষেধক হিসেবে ‘স্পুৎনিক-ভি’ মানবদেহে প্রয়োগের অনুমতি দিয়ে বিশ্বকে চমকে দিয়েছিলেন রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।
যদিও সেই সময় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সহ একাধিক দেশের স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা ওই ভ্যাকসিনের ‘সুরক্ষা’ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিন্তু করোনা ভ্যাকসিন ‘স্পুটনিক-৫’ এর আবিষ্কারক গামালিয়া রিসার্চ ইনস্টিটিউটের গবেষকরা দাবি করেছিলেন, ভ্যাকসিন যথেষ্টই নিরাপদ এবং কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।