ভারতের সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও সিনিয়র বিজেপি নেতা যশোবন্ত সিং আর নেই।
রবিবার সকাল ৬টা ৫৫ মিনিট নাগাদ দিল্লির আর্মি হসপিটাল রিসার্চ অ্যান্ড রেফারেল হাসপাতালে তার মৃত্যু হয়। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৮২ বছর।
হাসপাতাল সূত্রে খবর, শারীরিক অসুস্থতা (সেপসিস উইথ মাল্টিঅর্গান ডিসফাংশন সিনড্রোম) নিয়ে গত ২৫ জুন সেনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয় তাকে।
সকালেই হঠাৎ করে হৃদরোগে আক্রান্ত হন তিনি। যদিও তার শরীরে কোভিড-১৯ ধরা পড়েনি।
১৯৩৮ সালের ৩ জানুয়ারি রাজস্থানের বারমার জেলার যশোল নামক গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন যশোবন্ত সিং।
সম্ভ্রান্ত রাজপুত পরিবারের সদস্য যশোবন্ত ১৯৫০ থেকে ৬০ সাল ভারতীয় সেনাবাহিনীতেও কর্মরত ছিলেন।
রাজনীতির টানে সেনাবাহিনীর চাকরি থেকে পদত্যাগ করেন তিনি। বিজেপির প্রতিষ্ঠাতা সদস্যের অন্যতম ব্যক্তি ছিলেন তিনি।
ভারতের দীর্ঘসময় ধরে থাকা সংসদ সদস্যদের মধ্যে তিনি ছিলেন অন্যতম। ১৯৮০ সাল থেকে ২০১৪-দীর্ঘ ৩৪ বছর ধরেন তিনি সাংসদ ছিলেন।
২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের দার্জিলিং লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি সাংসদ। ভারতের পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব সামলেছেন।
১৯৯৮-৯৯ পর্যন্ত দেশটির প্ল্যানিং কমিশনের ডেপুটি চেয়ারম্যানের পদেও ছিলেন তিনি। তুখোড় এই রাজনীতিবিদ একাধিক বইও লিখেছিলেন।
তার মৃত্যুতে শোকজ্ঞাপন করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোভিন্দ, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ, পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস.জয়শঙ্কর, প্রতিরক্ষামন্ত্রী রাজনাথ সিং, বস্ত্রমন্ত্রী স্মৃতি ইরানি।
টুইট করে মোদি লিখেছেন ‘যশোবন্তজি প্রথমে একজন সৈনিক হিসেবে এবং পরে রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে আমাদের দেশকে অত্যন্ত নিষ্ঠার সঙ্গে সেবা করেছেন।
তিনি সাবেক প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর শাসনকালে কেন্দ্রে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রণালয়ের দায়িত্ব সামলেছেন এবং বিশ্ব অর্থনীতি থেকে শুরু করে পররাষ্ট্র, প্রতিরক্ষা-সর্বত্র নিজের প্রভাব রেখে গেছেন। তার মৃত্যুতে গভীরভাবে মর্মাহত।