ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং তার স্ত্রী করোনা আক্রান্ত হওয়া খবর জানাজানি হতে ধাক্কা খেল তেল ও শেয়ার বাজার। টেস্টে ট্রাম্পের করোনা পজিটিভ এই খবর দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে শুক্রবার সকাল থেকেই।
এই দিন চীনে এবং ভারতে শেয়ারবাজার বন্ধ ছিল তাই প্রভাব লক্ষ্য করার সুযোগ হয়নি।
কিন্তু এশিয়া এবং ইউরোপের বিভিন্ন দেশের লগ্নিকারীদের মধ্যে ভীষণভাবে শেয়ার বেচে দেয়ার প্রবণতা দেখা যায়।
জেরে শেয়ার সূচকে নেমে আসে। দিনের শুরুতে মার্কিন শেয়ারবাজারের সূচক ছিল দক্ষিণমুখী।
মার্কিন শেয়ার সূচক ডাও জোন্সের আগাম লেনদেন ৪৪০ পয়েন্ট নেমে যায়। তারপর খোলার পরেও সেই পতনের ধারা লক্ষ্য করা গেছে।
প্রধান তিনটি সূচক ডাও জোন্স,এস এন্ড পি৫০০, ন্যাসডাকে পতন লক্ষ্য করা গেছে। দিনের শুরুতেই এই পতনশীল ছিল ১ শতাংশ থেকে ২.২ শতাংশ।
দিনের শুরুতে পতন এভাবে দেখা গেলেও বেলা বাড়লে অবস্থার কিছুটা উন্নতি হয়। লন্ডনে সকালের দিকে বাজার পড়লেও পরে কিছুটা ঘুরে দাঁড়ায়।
দিনের শেষে ফ্রান্স একই রকম অবস্থায় থাকলেও জার্মানি শেয়ার বাজার এদিন নেমেছে।
এদিকে আবার অপরিশোধিত তেলের নাম ৪০ ডলারের নিচে নেমে গেছে। তাছাড়া গত কয়েকদিন ধরেই সোনার দাম পড়তে দেখা গেছে ফলে তা হয় ১৯০০ ডলার প্রতি আউন্স।
বাজার বিশেষজ্ঞদের অভিমত, শুধু ট্রাম্পের করোনার কারণ নয় শেয়ার সূচক পড়া অথবা তেলের দাম নেমে যাওয়ার পিছনে আরও কিছু কারণ রয়েছে।
যেমন এই করোনা সংকটের কর্মহীনদের জন্য আর্থিক ত্রাণ প্রকল্প নিয়ে আসা নিয়ে মার্কিন হাউস স্পিকার ন্যান্সি পেলোসি এবং অর্থ সচিব স্টিফেন মনু চীনের আলোচনা ব্যর্থ হওয়া। যা অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর নিয়ে আশঙ্কা বাড়িয়ে দিয়েছে।
মার্কিন মুল্লুকের বেকারত্ব এখন ৮ শতাংশ। সেপ্টেম্বর মাসে ৬.৬১ লাখ চাকরি তৈরি হলেও সেটা পর্যাপ্ত নয়। ট্রাম্পের করোনার পাশাপাশি এইসব অর্থনৈতিক তথ্য প্রভাব ফেলছে শেয়ার বাজারের উপর।