করোনা সংক্রমণ কমেনি বরং গোষ্ঠী সংক্রমণ ভয়ংকর রূপ নিয়েছে বলে দাবি করলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
সেইসঙ্গে জানালেন, মারণ এই ভাইরাস তাঁর বাড়িতেও হানা দিয়েছে। বাড়ির পরিচারক ও নবান্নের অফিস সহকারি করোনায় আক্রান্ত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী নিজেই।
মমতা বলেন, যে ছেলেটি কালীঘাটের বাড়িতে তাঁকে চা দেন। তাঁর করোনা হয়েছে। এমনকী, যিনি মুখ্যমন্ত্রীর অফিসে ফোন ধরেন তাঁরও করোনা হয়েছে। করোনায় গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা এদিন নিজেই স্বীকার করে নেন মমতা।
গান্ধীমূর্তির পাদদেশে প্রতিবাদ মঞ্চ থেকে মমতা বলেন, ‘সবাইকে সাবধানে থাকতে হবে। আমি বাড়ি গেলে যে ছেলেটা আমাকে চা দিত তাঁর করোনা হয়েছে। এখন আমাকে চা দেওয়ার আর কোনো লোক নেই।
আমার অফিসে যে ছেলেটা ফোন ধরত তাঁরও করোনা হয়েছে। কমিউনিটি ট্রান্সমিশন (গোষ্ঠী সংক্রমণ) শুরু হয়ে গেছে। হাথরাস নিয়ে প্রতিবাদের ইস্যুতেও দলীয় নেতৃত্ব, কর্মী-সমর্থকদের শারীরিক দূরত্ব বজায় রেখে আন্দোলন করতে বলেন মমতা।
প্রসঙ্গত, হাথরাস কাণ্ডে উত্তাল দেশ। সেই ইস্যুকে হাতিয়ার করে শনিবার কলকাতার রাজপথে প্রতিবাদ মিছিলে হাঁটলেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। করোনা কালে দীর্ঘদিন পর পথের প্রতিবাদে মমতা।
সংক্রমণের কথা মাথায় রেখে কভিড প্রোটোকল মেনে শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা হয় মিছিলে। এক হাতে টর্চ এবং আরেক হাতে কালো পতাকা নিয়ে মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন মমতা।