নাগোর্নো-কারবাখ অঞ্চলের দখল নিয়ে রক্তক্ষয়ী সংঘাত চলছে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে। এক সপ্তাহেরও বেশি সময় ধরে তুমুল যুদ্ধ চলছে উভয় দেশের মধ্যে।
জাতিসংঘ, রেডক্রস, ইউরোপীয় ইউনিয়নের পরে এ বার উভয় দেশকে শান্তিপূর্ণ আলোচনার আহ্বান জানিয়েছে ইরান। দুই দেশকে আলোচনার টেবিলে আনতে মধ্যস্থতার প্রস্তাবও দিয়েছে ইরান।
কয়েকদিনের সংঘর্ষে আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান দুই তরফেই বিপুল প্রাণহানীর ঘটনা ঘটেছে। রবিবার আর্মেনিয়া কামান দেগে ধ্বংস করেছিল আজারবাইজানের দ্বিতীয় বৃহত্তম শহর গ্যাঞ্জার একাংশ। সোমবার তাদের গোলায় বিধ্বস্ত হয়েছে আজারবাইজানের আরেক শহর টারটার।
অন্য দিকে, আজারবাইজানের আক্রমণে নাগর্নো-কারাবাখের রাজধানীর কার্যত ধূলিসাৎ হয়ে গেছে। এখনো পর্যন্ত পাওয়া হিসেব অনুযায়ী নাগর্নো-কারবাখেই কমপক্ষে ২২০ জন যোদ্ধার মৃত্যু হয়েছে। তাঁরা সকলেই আর্মেনিয়ার সেনার পাশে দাঁড়িয়ে আজারবাইজানের বিরুদ্ধে লড়াই করছিলেন। এ ছাড়াও ৮২ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে।
আজারবাইজানে অন্তত ২৪ জন সাধারণ মানুষের মৃত্যু হয়েছে। আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান কোনো পক্ষই সেনা মৃত্যুর পরিসংখ্যান দেয়নি।
আর্মেনিয়া এবং আজারবাইজান দুইটি দেশের সঙ্গেই ইরানের সীমান্ত রয়েছে। যুদ্ধে বেশকিছু মর্টার শেল ইরানি ভূখন্ডেও পড়েছে। একজন ইরানি শিশু আহত হয়েছে।
তাই নিজ দেশের নিরাপত্তার স্বার্থে যুদ্ধ থামাতে মাঠে নামতে হয়েছে ইরানকে। দুইটি দেশকেই শান্তিপূর্ণ ভাবে বৈঠকে বসার আর্জি জানিয়েছে ইরান। কিন্তু তাতে এখনো পর্যন্ত কোনো দেশই সাড়া দেয়নি।