নিউজিল্যান্ড শুরু হয়েছে সাধারণ নির্বাচন। করোনা পরিস্থিতির কারণে একমাস পেছানোর পর শুরু হয়েছে নির্বাচন।
সাম্প্রতিক সময়ে করোনা মোকাবিলায় দেশটি যে সফলতা দেখিয়েছে তা প্রশংসিত হয়েছে বিশ্বজুড়ে।
প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডান দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসতে যাচ্ছেন। তবে এখন বড় প্রশ্ন হ’ল তিনি সংসদীয় সংখ্যাগরিষ্ঠতা যদি অর্জন করবেন তবে তা নজিরবিহীন হবে।
১৯৯৬ সালে মিশ্র মেম্বার প্রোপোরেন্টাল রিপ্রেজেনটিভ নামে পরিচিত একটি সংসদীয় ব্যবস্থা চালু করার পর থেকে নিউজিল্যান্ডে কোনও দলই সুস্পষ্ট সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করতে পারেনি। নির্বাচন নিয়ে আলোচনায় সবার আগে আসে ভোটাধিকারের কথা।
স্থানীয় সময় সকাল ৯ টায় ভোট শুরু হয়ে সন্ধ্যা ৭ টায় ভোট শেষ হওয়ার কথা রয়েছৈ। এরই মধ্যে আগাম ভোট দিয়েছেন ১০ লাখের বেশি মানুষ।
নির্বাচনে সবাই দুটি করে ভোট দিতে পারে। এর মধ্যে একটা প্রার্থীর জন্য, অন্যটা দলের জন্য। কারণ দলের জন্য যে ভোট আপনি দেবেন তার মাধ্যমেও সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়।
নিউজিল্যান্ড সংসদে আসন সংখ্যা ১২০টি। তারমধ্যে ৭২টি আসন সরাসরি ভোটে নির্বাচিত হয় এবং বাকি ৪৮টি আসন নির্বাচিত হয় দল কত শতাংশ ভোট পেলো তার ভিত্তিতে।
নির্বাচনের একটি মূল অনুষঙ্গ প্রচার-প্রচারণা। নিউজিল্যান্ডে নির্বাচন উপলক্ষে কোনো মিছিল, মিটিং, মাইকিং, স্লোগান এসব কিছুই হয় না।
শুধু টেলিভিশন, খবরের কাগজে কিছু আলোচনা, বিতর্ক আর রাস্তার কোথাও কোথাও থাকে প্রার্থীদের প্ল্যাকার্ড।
সাধারণ প্রার্থী থেকে শুরু করে প্রধানমন্ত্রী পর্যন্ত সব প্রার্থীই নিজের হাতে সীমিত আকারে লিফলেট বিতরণ করেন। নির্বাচনী সমাবেশ দু’একটি হলেও তা হয় নির্দিষ্ট কোনো জায়গায় হয় এবং কোনো কষ্টের উদ্রেক না করে।
২০২০ সালের জাতীয় নির্বাচনে নিউজিল্যান্ডে আগাম ভোটগ্রহণ শুরু হয়েছে ৩ অক্টোবর থেকে। নিউজিল্যান্ডের নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, দেশটিতে আগাম ভোট দিন দিন জনপ্রিয় হচ্ছে।
২০১৭ সালের সাধারণ নির্বাচনে আগাম ভোট পড়েছিল ৪৭ শতাংশ। যা চলতি নির্বাচনে ৬০ শতাংশ পর্যন্ত হতে পারে বলে জানা গেছে।