জাপানের প্রধানমন্ত্রী ইয়োশিহিদে সুগা তার ক্ষমতাসীন জোটের একাধিক আইনপ্রণেতা নাইটক্লাবে যাওয়ায় ক্ষমা চেয়েছেন।
করোনা সংক্রমণের ঝুঁকিতে জাপানের সরকার জনগণকে অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে না যেতে অনুরোধ করেছে। এর মধ্যেই আইনপ্রণেতাদের এমন কাণ্ডে সমালোচনার মুখে পড়েন তারা।
করোনা মোকাবিলায় দেশটির প্রধানমন্ত্রী সুগার পদক্ষেপ নিয়েও সমালোচনা চলছে। সমালোচকদের দাবি, খুব ধীরে ও অনিয়মিতভাবে মহামারী মোকাবিলা করা হচ্ছে।
আমি আন্তরিকভাবে দুঃখিত যে এটা ঘটেছে যখন আমরা লোকজনকে ৮টার পর বাইরে না খেতে ও অপ্রয়োজনীয় কারণে বাইরে না যেতে অনুরোধ করছি।
তিনি বলেন, প্রত্যেক আইনপ্রণেতার উচিত ছিল জনগণের উপলব্ধি অর্জন করার মতো আচরণ করা।
ভাইরাসের সংক্রমণ রুখতে জাপানের টোকিওসহ অন্যান্য অঞ্চলে এ মাসে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়। এই পদক্ষেপের আওয়তায় রেস্টুরেট ও বারগুলোকে রাত ৮টার মধ্যে বন্ধ করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে। যদিও অনুরোধ না মানলে কোনো শাস্তির বিধান রাখা হয়নি।
ক্ষমতাসীন লিবারাল ডেমোক্র্যাটিক পার্টির সদস্য ও জ্যেষ্ঠ আইনপ্রণেতা জুন মাৎসুমোতো বলেন, যখন আমরা জনগণকে ধৈর্য্যশীল থাকার অনুরোধ করছি এমন সময়ে আমার আচরণে অসাবধাণতা ছিল।
মাৎসুমোতো গত সোমবার একটি ইতালীয় রেস্টুরেন্টে খাবার খেয়ে টোকিওর অভিজাত জেলা গিনজার দুটি নাইট ক্লাবে গিয়েছেন।
জোটের কনিষ্ঠ অংশীদার কোমেইতো দলের আইনপ্রণেতা কিয়োহিকো তোয়ামাও ক্ষমা চেয়েছেন। গত শুক্রবার পর্যন্ত তিনি গিনজার একটি অভিজাত নাইট ক্লাবে গিয়েছেন।
টুইটার ব্যবহারকারীরা হতাশা প্রকাশ করেন। এক টুইটার ব্যবহারকারী লেখেন, জনগণের রাগ ফুঁসে ওঠাটা এখন শুধু সময়ের ব্যাপার।
আমি এক লাখ ইয়েনের ব্ল্যাঙ্কেট ক্যাশ-পেআউট চাইনা, আমি চাই তারা পদত্যাগ করুক। আরেকজন ব্যবহারকারী বলেন, তারা আসলেই বোকা।
তারা কী চিন্তা করেননা যে তারা কী করছেন এবং লোকজন তাদেরকে কীভাবে দেকছে? যদি তারা না করেন, তাহলে জনগণের প্রতিনিধিত্বের যোগ্যতা তাদের নেই।