নোবেল শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনীত হয়েছেন সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের জামাই জেরাড কুশনার।
ইসরায়েলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর শান্তি স্থাপনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনের কারণেই কুশনার ও তার ডেপুটি অ্যাভি বারকোভিটসকে মনোনীত করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, বারকোভিটস মধ্যপ্রাচ্যের দূত হিসেবেও কাজ করেছেন। গত বছর নোবেল শান্তি পুরস্কারে মনোনীতদের তালিকায় নাম এসেছিল তৎকালীন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের।
পুরস্কার আগামী অক্টোবরে দেওয়া হবে। হোয়াইট হাউসের সাবেক সিনিয়র অ্যাডভাইজার কুশনার এক বিবৃতিতে জানিয়েছেন, এ মনোনয়ন পেয়ে তিনি সম্মানিত বোধ করছেন।
ট্রাম্প প্রশাসনের দুই কর্মকর্তাকে নোবেল পুরস্কারের জন্য মনোনীত করেন তাদেরই এক বন্ধুপ্রতীম অ্যাটর্নি অ্যালান ডার্শোউইজ।
হার্ভার্ড ল’ স্কুলের প্রফেসর এমিরেটাস হওয়ায় এ মনোনায়ন দেওয়ার সুযোগ পেয়েছেন তিনি।
ট্রাম্পের সময় ইসরায়েলের সঙ্গে আরব দেশগুলোর শান্তি ফেরাতে মধ্যস্থতার জন্য তিনিই তার শ্বশুরকে পরামর্শ দিয়েছিলেন।
এরপর ইসরায়েল ও সংযুক্ত আরব আমিরাতের মধ্যে হওয়া ‘আব্রাহাম চুক্তি’তে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন ট্রাম্প। ওই চুক্তিকে গত ২৫ বছরের মধ্যে মধ্যপ্রাচ্যের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কূটনৈতিক চুক্তি বলে মনে করা হয়।
শান্তি পুরস্কারের জন্য মনোনয়নের বিষয়ে নোবেল কমিটিকে দেওয়া চিঠিতে ডার্শোউইজ আরব-ইসরায়েল শান্তি চুক্তিতে ভূমিকা রাখা ইসরায়েলে নিযুক্ত সাবেক মার্কিন রাষ্ট্রদূত ডেভিড ফ্রায়েডম্যান এবং যুক্তরাষ্ট্রে ইসরায়েলের সাবেক রাষ্ট্রদূত রন ডরমারের কথাও বিশেষভাবে উল্লেখ করেন।
নোবেল শান্তি পুরস্কারকে বিতর্কিত উল্লেখ করে ট্রাম্পের সাবেক এ সহযোগী বলেন, এ পুরস্কার জনপ্রিয়তার জন্য নয়। যারা শান্তি প্রতিষ্ঠায় সহায়তা করেছিলেন তাদের সম্পর্কে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় কী ভাবতে পারে, তার মূল্যায়নও নয়।
এটি আলফ্রেড নোবেলের ইচ্ছায় নির্ধারিত ভয়ঙ্কর মানদণ্ড পূরণের পুরস্কার।
কুশনার ও তার ডেপুটি অ্যাভি বারকোভিটসকে ওই মনোনয়ন দেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছিলেন মার্কিন আইনজীবী অ্যালান ডেরশোভিটসই।
হার্ভার্ড আইন স্কুলের অধ্যাপক হিসেবে এই সুপারিশ দেওয়ার যোগ্যতা রয়েছে তার। নোবেল পুরস্কার প্রাপ্তদের নাম ঘোষণা করা হবে চলতি বছরের অক্টোবরের প্রথম সপ্তাহে।