ভারত ও বাংলাদেশ আঞ্চলিক সহযোগিতার জন্য রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশগুলোর তুলনায় বেশি, এমন মন্তব্য করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রসচিব হর্ষবর্ধন শ্রিংলা।
তিনি বলেন, দুটি দেশ তাদের ইতিহাস, সংস্কৃতি, ভাষা, স্বাধীনতা, ন্যায়বিচার বজায় রেখেছে যা ভবিষ্যতের শান্তি ও সমৃদ্ধির সেতু হিসেবে বিবেচনা করা যায়।
কলকতায় বাংলাদেশের তৃতীয় চলচ্চিত্র উদ্ধোধনী অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন শ্রিংলা।
ভারত ও বাংলাদেশ উন্নয়ন ও সহযোগিতার এক রোল মডেল হয়ে দাঁড়িয়েছে যা দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের তুলনায় অনন্য।
তিনি বলেন, ভারত-বাংলাদেশ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কে নানা পরীক্ষা অতিক্রম করেছে এবং মহামারি-পরবর্তী সময়ে যেমন বিশ্বে ব্যাপক উত্থান হয়েছে, ততই আমাদের সম্পর্ক দৃঢ় হয়েছে।
পররাষ্ট্রসচিব সাম্প্রতিক সময়ে তার দুটি ঢাকা সফরের কথা উল্লেখ করে বলেন, দু’দেশের সহযোগিতা অদম্যভাবে এগিয়ে চলেছে। আমাদের প্রধানমন্ত্রীও ঢাকা সফরের অপেক্ষায় রয়েছেন। আগামী মার্চেই ঢাকা সফরের কথা রয়েছে ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির।
এদিকে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুদ বিন মোমেন গত মাসে ভারত সফরে যেয়ে মোদির সফরের বিষয় চূড়ান্ত করেছেন। সেই সাথে পররাষ্ট্র সচিব তার ভাষণে বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধে দু’দেশের বন্ধনের কথা উল্লেখ করেছেন।
তিনি বলেন, আমি অত্যন্ত গর্বের সাথে বলছি যে, আমাদের দুই দেশের মধ্যে গভীর ঐতিহাসিক বন্ধন আমাদের সেনাদের রক্তের সাথে স্বর্ণাক্ষরে রচিত হয়েছে যা আমাদের জনগণের নিবিড় সংকল্পের দ্বারা সুরক্ষিত ও সংরক্ষণ করা হয়েছে।
একাত্তরের চেতনা বাংলাদেশকে মুক্ত করতে সহায়তা করেছিল, একাত্তরের সেই চেতনাই ভারত-বাংলাদেশ সম্পর্ককে উৎসাহিত করেছে এবং সেই একই চেতনা আগামী বছরগুলোকে সম্পর্কের ভিত্তি হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর ভারতীয় সেনাবাহিনী এবং মুক্তি বাহিনীর সামনে ৯৩ হাজার পাকিস্তানি সেনা আত্মসমর্পণ করেছিল।
এর জের ধরেই ২০২১ সাল স্বাধীনতার ৫০ বছর উপলক্ষ্যে দুদেশের সম্পর্ক আরো মজবুত হয়ে উঠেছে। সেই সাথে এ বছর পালিত হচ্ছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের বায়োপিকের শুটিং গত মাসে মুম্বাইয়ে শুরু হয়েছে। এই বছর আমাদের দু’দেশের পাশাপাশি তৃতীয় দেশগুলো এবং জাতিসংঘও দেখবে ভারত ও বাংলাদেশ যৌথভাবে মুজিববর্ষ এবং স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছর উদযাপন করছে।