তুর্কি সিরিজ দিরিলিস আরতুগ্রুল দেখে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছেন মার্কিন এক নারী। তুর্কি জনপ্রিয় টিভি সিরিজ রেসুররেক্শন : আরতুগ্রুল দেখে ওই নারী ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে বলে জানিয়েছে দেশটির সংবাদ সংস্থা আনাদলু এজেন্সি।
ইসলাম ধর্ম গ্রহণের পর উইসকনসিনের বাসিন্দা ওই নারীর নাম রাখা হয় খাদিজা। তিনি নেটফ্লিক্সে প্রথম এই সিরিজ দেখেন। তিনি বলেন, ওই সিরিজটি যখন চোখে পড়লো তখন দেখা শুরু করলাম। ওই সিরিজের কয়েকটি পর্ব দেখার পর ইসলামের প্রতি আমার আগ্রহ তৈরি হলো।
সিরিজটি সম্পর্কে তিনি বলেছেন, এটি এমন একটি ইতিহাস যা সম্পর্কে আমি কিছুই জানতাম না। মহিউদ্দিন ইবনে আরাবির সংলাপগুলো তাঁর জীবনের একটি নতুন অর্থ দাঁড় করিয়ে দিয়েছে। তাঁর (মহিউদ্দিনের) কথাগুলো তাঁকে অনেক ভাবিয়েছে। তাঁকে মাঝে মাঝে কাঁদিয়েছেও।
এই সিরিজের প্রতিটি পর্ব তিনি চারবার করে দেখেছেন। তিনি আবারও দেখা শুরু করেছেন। তিনি জানান, সিরিজটি ইসলামের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গির ওপর দারুণ প্রভাব ফেলেছিল। তিনি বলেন, আমি নতুন ইতিহাস শিখতে পছন্দ করি।
এটি দেখে আমার চোখ খুলে গেছে- আমি ধর্ম সম্পর্কে যা জানি সে বিষয়ে। আমি এই বিষয়ে আরো জানতে চেষ্টা করি। তিনি জানান, ইতিহাস নিয়ে জানার কৌতূহলই মূলত তাকে এই সিরিজের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়েছে। এই সিরিজ দেখার পরে তিনি ইসলাম সম্পর্কে জানতে শুরু করেন।
ওই নারী ছিলেন একজন ব্যাপটিস্ট ক্যাথলিক (খৃস্টান)। ইসলাম নিয়ে তাঁর সমস্ত প্রশ্নগুলো পরিষ্কার হয়ে গেছে। শেষ পর্যন্ত তিনি ইসলামের প্রতি আরো আগ্রহী হয়ে উঠেন। ইসলাম সম্পর্কে আরো জানার জন্য কুরআনের ইংরেজি ভার্সন পড়ার বিষয়টি উল্লেখ করে তিনি মুসলিম হওয়ার সিদ্ধান্ত নেন।
পরে এই প্রক্রিয়াটি ব্যাখ্যাও করেন। একপর্যায়ে তিনি আশেপাশের মসজিদ খোঁজা শুরু করেন। তিনি একটি খুঁজেও পান। সেখানে প্রবেশ করে তিনি তাঁর ব্যাপারে বলেন। তাকে দেখে মুসলিমরা বিস্মিত হন। তিনি বলেন, আমি ঠিক সেদিনই মুসলিম হয়েছি।
ইসলাম গ্রহণের ঘোষণা দেওয়ার পর তার বন্ধুরা ব্যাপক প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে বলে জানান খাদিজা। তাঁরা (তার বন্ধুরা) মনে করতেন খাদিজার মগজ ধোলাই করা হয়েছে। তিনি বলেন, এরপর আমি আর কারো সঙ্গে এই বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করেনি। আমি তাদের বিশ্বাসে কোনো ধরনের হস্তক্ষেপ করিনি। তাদেরও আমার বিশ্বাসে হস্তক্ষেপ করার কোনো যুক্তিক কারণ নেই।