বাইডেন প্রশাসন তেল নিষেধাজ্ঞাসহ বড় ধরনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞাগুলো তুলে না নিয়ে তেহরানের ওপর আর্থিক চাপ কমিয়ে আনার উপায় নিয়ে ভাবছে। চারটি সূত্রের বরাত দিয়ে মার্কিন বার্তা সংস্থা ব্লুমবার্গ এ তথ্য জানিয়েছে।
এ বিষয়ে মার্কিন সরকারের অন্যতম বিকল্প হলো ইরানকে আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল থেকে সহায়তা করা। এর মাধ্যমে করোনাভাইরাস প্রাদুর্ভাবের এ সময়ে অর্থনৈতিক মন্দার সঙ্গে লড়াই করতে সক্ষম হবে দেশটি।
বাইডেন প্রশাসন যে বিষয়টি বিবেচনা করছে তা হলো সব নিষেধাজ্ঞা শিথিল করা, যাতে করোনার সঙ্গে সম্পর্কিত আন্তর্জাতিক সাহায্যগুলো ইরানে পৌঁছতে পারে।
প্রতিবেদনে আরো বলা হয়েছে, মানবিক কারণে এ জাতীয় পদক্ষেপ গ্রহণ হতে পারে। তবে আন্তর্জাতিক বাজারে ইরানি তেল বিক্রিতে যে নিষেধাজ্ঞাগুলো রয়েছে তা মার্কিন সরকার গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করেনি।
গত বছরে তেহরান করোনাভাইরাস মোকাবেলায় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের কাছ থেকে ৫ বিলিয়ন ডলার সহায়তা চেয়েছিল।
ইরানের ওপর আরোপিত নিষেধাজ্ঞা বিশেষত তেল রপ্তানির ক্ষেত্রে সহায়তা পেলে এ সমস্যা সমাধানে কিছুটা কাজে আসবে। কারণ ইরানের প্রধান আয়ের উৎস তেল রপ্তানি।
গত সেপ্টেম্বরে ইরানের প্রেসিডেন্ট হাসান রুহানি বলেন, ২০১৮ সাল থেকে যুক্তরাষ্ট্রের আরোপিত নিষেধাজ্ঞার কারণে মোট লোকসানের পরিমাণ ছিল ১৫০ বিলিয়ন ডলার।
২০১৮ সালের মে মাসে পারমাণবিক চুক্তি থেকে একতরফা সরে যাওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্র তেলের রপ্তানি বন্ধ করার লক্ষ্যে একই বছরের ৫ নভেম্বর ইরানের ওপর অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে।
এরপর কেন্দ্রীয় ব্যাংকসহ ইরানি ব্যাংকগুলোকে এ নিষেধাজ্ঞার তালিকায় যুক্ত হয়। ফলে তেহরানের অর্থনৈতিক ক্ষতির পরিমাণ অনেক বেড়ে যায়। মার্কিন নিষেধাজ্ঞার ফলে অনেক দেশ ইরানের সঙ্গে তাদের বাণিজ্যিক লেনদেন বন্ধ এবং তেহরান থেকে তেল কেনা বন্ধ করে দিয়েছে।
বাইডেন প্রশাসন আবার এ চুক্তিতে ফিরে যেতে চায়। তবে একই সঙ্গে ইরানকেও তা মেনে চলার দাবি জানিয়েছে। অন্যদিকে তেহরান ওয়াশিংটনের এই চুক্তিতে প্রথমে ফিরে আসার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দিয়েছে।
তবে সৌদি আরবের নেতৃত্বে উপসাগরীয় দেশগুলো নতুন পারমাণবিক চুক্তিতে পৌঁছার লক্ষ্যে ইরান ও আমেরিকার মধ্যে যে কোনো নতুন আলোচনায় অংশ নিতে চায় বলে জানা গেছে।