ভারতের উত্তরাখণ্ড রাজ্যের চামোলি জেলায় হিমবাহ ধসের ঘটনায় এখন পর্যন্ত ১৮ জনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। এ ঘটনায় এখনো নিখোঁজ রয়েছেন অন্তত ২০০ জন।
রবিবার সকালে চামোলি জেলার জোশিমঠের তপোবনে নন্দাদেবী হিমবাহে ধস নামে। এবং তা ঋষিগঙ্গা বাঁধের ওপর গিয়ে পড়ে। এতে অলকনন্দা ও ধউলিগঙ্গা নদীতে প্রবল পানির তোড়ে পাঁচটি সেতু ভেসে যায়।
ঘরবাড়িসহ নিকটবর্তী এনটিপিসি বিদ্যুৎ কেন্দ্রও ক্ষতিগ্রস্ত হয়। এ ছাড়া ঋষিগঙ্গার কাছে একটি ছোট জল বিদ্যুৎ কেন্দ্র ধ্বংস হয়ে যায়। ওই ঘটনায় যে ২০০ জন নিখোঁজ রয়েছেন, তাদের মধ্যে এনটিপিসির ১৪৮ জন কর্মী ও ঋষিগঙ্গার ২২ জন রয়েছেন।
পাহাড়ের তীর থেকে আঠারোটি লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। নিখোঁজদের বেশিরভাগ লোক এখানে চলমান দুটি উন্নয়ন প্রকল্পে কাজ করছিল।
রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়াত বলেছেন, এখনো পর্যন্ত প্রায় ২০৩ জন নিখোঁজ রয়েছেন। প্রত্যন্ত অঞ্চল থেকে উদ্ধারকারীদের পাঠানো নতুন তথ্যের ফলে এ সংখ্যা বারবার পরিবর্তন হচ্ছে। ঘটনাস্থলে জাতীয় ও রাজ্য দুর্যোগ মোকাবিলা বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। ভারত-তিব্বত সীমান্তরক্ষী বাহিনীর কয়েকটি টিমও মোতায়েন করা হয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনী তাদের সৈন্য ও দেশটির নৌবাহিনী সাতটি ডুবুরি দল পাঠিয়েছে বলেও জানান তিনি।
উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিভেন্দ্র সিং রাওয়া ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি প্রত্যেক নিহতের পরিবারকে ৪ লাখ রুপি ক্ষতিপূরণ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির ত্রাণ তহবিল থেকে দেওয়া হবে আরো ২ লাখ রুপি করে। যারা গুরুতর আহত হয়েছেন তাদের প্রত্যেকের চিকিৎসার জন্য দেওয়া হবে ৫০ হাজার রুপি করে।
আগে নরেন্দ্র মোদি টেলিফোনে উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীকে বলেছিলেন, ভারত উত্তরাখণ্ডের পাশে আছে, পুরো দেশ সেখানকার সবার জন্য প্রার্থনা করছে।