ভারতে একটি মুসলিম শিশু পানি খেতে মন্দিরে গেলে তাকে মারধর করার একটি ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে পড়েছে। এর পর এনিয়ে সোশাল মিডিয়ায় শুরু হয়েছে হৈ চৈ।
লোকজন ওই ব্যক্তিকে গ্রেপ্তারের দাবি জানিয়ে ভিডিওটি শেয়ার করে ও এ বিষয়ে পোস্ট দেয়। টুইটারে ছড়িয়ে পড়ে হ্যাশট্যাগ ‘সরি’। এই ঘটনার জন্য তারা ছেলেটির জন্য দুঃখ প্রকাশ করে।
ভিডিওটি ২৫ সেকেন্ডের। এতে দেখা যাচ্ছে এক ব্যক্তি একটি শিশুর হাত ধরে হিন্দি ভাষায় তার নাম জানতে চাইছেন। জবাবে ছেলেটি জানায় তার নাম আসিফ। পিতার নাম জানতে চাওয়া হলে সে বলে হাবিব। “মন্দিরে কি করছ?” হিন্দিতে ওই ব্যক্তি জানতে চাইলেন। “মন্দিরে পানি খেতে এসেছি,” ছেলেটি জবাব দেয়। এসময় তাকে ভীত সন্ত্রস্ত দেখাচ্ছিল।
এর পর পরই শিশুটিকে মারতে শুরু করেন ওই ব্যক্তি। প্রথমে মাথায় ও পরে সারা শরীরে চড় মারতে থাকেন তিনি। এক পর্যায়ে শিশুটির হাত মুচড়ে তাকে মাটিতে ফেলে দিয়ে অনবরত লাথি ও কিল ঘুষি মারতে শুরু করেন।
ভিডিওটি কে বা কারা পোস্ট করেছেন সেটা জানা যায়নি। তবে মুহূর্তের মধ্যেই এটি অনলাইনে ছড়িয়ে পড়ে। বিবিসির পক্ষ থেকে ভিডিওটির সত্যতা যাচাই করে দেখা সম্ভব হয়নি।
ভারতের সংবাদ মাধ্যমে বলা হচ্ছে ঘটনাটি ঘটেছে উত্তর প্রদেশের গাজিয়াবাদ এলাকায়।
গাজিয়াবাদের পুলিশ ছেলেটিকে মারধর করার অভিযোগ একজনকে গ্রেপ্তার করেছে এবং ভিডিওতে যা দেখা গেছে তার ভিত্তিতে একটি প্রাথমিক অভিযোগ বা এফআইআর দায়ের করা হয়েছে।
স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে বলেছেন, ভিডিওতে যে ব্যক্তি শিশুটিকে মারধর করছিলেন তিনি বিহারের বাসিন্দা। তাকে গ্রেপ্তার করার পর এবিষয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে।
দ্য হিন্দু পত্রিকা লিখেছে ছেলেটির পিতা সাংবাদিকদের বলেছেন, বাড়িতে ফেরার পথে তার ছেলে পিপাসার্ত হয়ে পড়লে তার ছেলে পানি খেতে ওই মন্দিরে গিয়েছিল।
এই ভিডিওটি ভাইরাল হওয়ার সঙ্গে লোকজন টুইটারে হ্যাশটাগ ‘সরি’ লিখে শিশুটির কাছে দুঃখ প্রকাশ করতে শুরু করে।
এটা শুধু তোমার কাছে ক্ষমা প্রার্থনা নয়, সারা দেশে অজানা আরো যেসব অগণিত অন্যায় ঘটছে তার জন্যেও। আমাদের সমাজ এরকম হয়ে ওঠায় আমি লজ্জিত,লিখেছেন অনুপম নামের এক ব্যক্তি।
আবার অনেকেই ভিডিওটির সত্যতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে বলেছেন, এটি সাজানো নাটক। কারণ ভিডিওতে আমি কোন মন্দির দেখতে পাচ্ছি না।