ভারতের উত্তর প্রদেশের ২২ বছরের এক যুবকের বাবা কয়েক বছর ধরে নিখোঁজ। পরিবারের খোঁজখবরও রাখছিলেন না তিনি। এ কারণে বাবার সন্ধানে নামেন ছেলে।
শেষ পর্যন্ত বাবার নতুন ঠিকানা খুঁজে পান তিনি। তবে বাবার সঙ্গে খুঁজে পান নিজের সাবেক স্ত্রীকেও। সেই সাবেক স্ত্রী বর্তমানে ছেলেটির বাবার দ্বিতীয় স্ত্রী। সম্পর্কে তার সৎমা। শুধু তা-ই নয়, বাবা ও ‘নতুন মায়ে’র সংসারে দুই বছরের এক ছেলেও রয়েছে।
এই ঘটনা জানতে পেরে বাকরুদ্ধ হয়ে পড়েন ছেলে। পরে সাবেক স্ত্রীকে নিজের কাছে ফেরাতে পুলিশেও অভিযোগ দেন।
উত্তর প্রদেশের বদায়ূঁ জেলার ২২ বছরের এক যুবকের বাবা অনেক আগে নিজের পরিবারকে ছেড়ে সম্ভল জেলায় আলাদা থাকতে শুরু করেন। পেশায় পরিচ্ছন্নতাকর্মী ৪৮ বছরের ওই ব্যক্তি সংসারে টাকা-পয়সা পাঠানো বন্ধ করে দেন। এরপর বাবার ঠিকানা জানতে তথ্য অধিকার আইনে (আরটিআই) মামলা করেন ওই যুবক। তাতেই জানতে পারেন তার নতুন মায়ের কথা।
২০১৬ সালে এই ‘নতুন মায়ে’র সঙ্গেই বিয়ে হয়েছিল ওই যুবকের। তবে সে সময় দুজনই ছিলেন অপ্রাপ্তবয়স্ক। সে বিয়ে টেকে মাত্র ছয় মাস। পরে মেয়েটি স্বামীকে মদ্যপ বলে দাবি করে বিচ্ছেদ নেন।
এদিকে বাবার সঙ্গে সাবেক সেই স্ত্রীর বিয়েতে ক্ষুব্ধ হয়ে থানায় অভিযোগ করেছেন যুবক। তার অভিযোগের পর দুই পক্ষকে আলোচনায় ডাকে বিসৌলি থানা পুলিশ। যুবকের সাবেক স্ত্রীর দাবি, দ্বিতীয় পক্ষের সঙ্গে সুখে সংসার করছেন তিনি। তাই সাবেক স্বামীর কাছে ফিরতে চান না।
বিসৌলি থানার এক কর্মকর্তা জানান, যুবকের প্রথম বিয়ের সময় দুজনই অপ্রাপ্ত বয়স্ক ছিলেন। সে বিয়ের কোনো নথিও নেই। তাই ওই নারীকে আগের স্বামীর কাছে ফেরাতে ব্যবস্থা নেওয়া সম্ভব হয়নি। তবে ফের আলোচনার জন্য আরো একটি নোটিশ দেওয়া হবে দুই পক্ষকে।