সুদানের সেনাবাহিনী ও আধা-সামরিক বাহিনীর (Rapid Support Forces-RSF) সদস্যদের মধ্যে বিগত ১৫ এপ্রিল থেকে সংঘর্ষ চলমান। গত দুই সপ্তাহে এ সংঘর্ষ ভয়াবহ আকার ধারণ করেছে।
সুদানে প্রায় ১৫০০ বাংলাদেশি রয়েছেন। এদের মধ্যে প্রায় ৭০০ বাংলাদেশি দেশে ফেরত আসার জন্য ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন। বর্তমানে সুদানে দুই বাহিনীর মধ্যে ৩৬ ঘন্টার আরেকটি যুদ্ধবিরতি চলছে, কিন্তু যুদ্ধবিরতির মধ্যেও বিভিন্ন স্হানে বিক্ষিপ্ত সংঘর্ষের খবর পাওয়া যাচ্ছে।
এর মধ্যেই আটকে পড়া বাংলাদেশিদেরকে প্রথমে খার্তুম থেকে পোর্ট সুদান এবং পোর্ট সুদান থেকে পোর্ট জেদ্দায় ফিরিয়ে আনা হবে। জেদ্দা থেকে বাংলাদেশ বিমানের কয়েকটি ফ্লাইটে এ বাংলাদেশিদের ঢাকায় আনার ব্যাবস্হা করা হচ্ছে।
সুদানে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূত ইতোমধ্যেই খার্তুম এবং এর আশপাশের শহর থেকে বাংলাদেশিদেরকে খার্তুম থেকে ৮৫০ কিলোমিটার দূরে অবস্হিত পোর্ট সুদানে পরিবহনের জন্য ঐকান্তিক চেষ্টায় নয়টি বাসের ব্যবস্হা করেছেন।
বাংলাদেশ কনসুলেট জেনারেল, জেদ্দা থেকে একটি টীম দূতাবাসকে সহায়তার জন্য আগামীকাল সুদান পৌঁছাবে। বাংলাদেশিদেরকে পোর্ট সুদান থেকে পোর্ট জেদ্দায় পরিবহনের জন্য রাজকীয় সৌদি সরকার বিনামূল্যে সৌদী নৌবাহিনীর জাহাজ দেয়ার জন্য প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন।
৩ মে বা ৪ মে তারিখের মধ্যে বাংলাদেশীরা জেদ্দা পৌঁছে যাবেন মর্মে আশ করা হচ্ছে। জেদ্দার দুইটি বাংলাদেশ স্কুলে সুদান প্রবাসীদের জন্য খাদ্য, পানীয়, ঔষধ ও সাময়িক বাসস্হানের ব্যাবস্হা করা হয়েছে।
খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে প্রায় ১২ ঘন্টার ভ্রমণ শেষে প্রবাসীদের যেন শারিরীক কোন সমস্যা না হয় এ বিষয়টি মাথায় রেখে পোর্ট সুদানেও বাংলাদেশ এম্বাসীর পক্ষ থেকে প্রবাসীদের জন্য খাদ্য, পানীয়, ঔষধ এবং সাময়িক বাসস্হানের ব্যবস্হা করা হচ্ছে।
সুদান প্রবাসীরা যেদিন জেদ্দা পৌঁছাবেন সেদিন থেকেই বাংলাদেশ বিমানের বিশেষ ফ্লাইটে বাংলাদেশিদের ঢাকায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া শুরু করা হবে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সুদান প্রবাসীদেরকে নিরাপদে এবং সর্বোচ্চ কম সময়ের মধ্যে দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে বদ্ধ পরিকর।