করোনা ভাইরাসের ভ্যাকসিন তৈরি ও গবেষনায় কাজ করা জার্মান বিজ্ঞানীদের এক বিলিয়ন ডলার দিতে চেয়েছিলেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্প৷ জার্মানির ‘ভেল্ট আম সনটাগ’ পত্রিকা রবিবার এই তথ্য প্রকাশ করে৷ যুক্তরাষ্ট্রে করোনা ভাইরাসের ভেক্সিন গবেষনা কর্মকান্ড স্থানান্তর করতে চাইলে “কিওরব্যাক” নামক জার্মান কোম্পানীকে ছাড়পত্র দেয়নি বার্লিন।
জার্মানির স্বাস্থ্য মন্ত্রনালয়ের বিষয়ে ওয়েল্ট অ্যাম সোনট্যাগ পত্রিকায় একটি প্রতিবেদনে বলা হয়, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে “কিওরভ্যাক” সংস্থাটিকে লোভ দেখাতে তহবিল সরবরাহ করেছিলেন এবং জার্মান সরকার এটিকে প্রলুব্ধ করার জন্য পাল্টা প্রচেষ্ঠা চালায়।
সংবাদপত্রটি স্বাস্থ্য মন্ত্রীর এক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে জানায়, “জার্মান সরকার ইউরোপ ও ইউরোপে নতুন করোনভাইরাসের ভ্যাকসিন এবং সক্রিয় মেডিসিনের বিকাশ নিশ্চিত করতে খুব আগ্রহী। এই বিষয়ে, জার্মানী কিওরভ্যাক সংস্থাটির সাথে নিবিড় যোগাযোগ অব্যহত রেখেছে।” জার্মানির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাইকো মাস বলেছেন, ‘‘জার্মানির গবেষকরা সবার সঙ্গে মিলে ওষুধ ও ভ্যাকসিন তৈরির কাজ করতে সিদ্ধহস্ত৷ গবেষণার ফলাফলের একচেটিয়া অধিকার আমরা অন্যদের দিতে পারিনা৷’’
রয়টার্সের সাথে যোগাযোগ করা জার্মান স্বাস্থ্য মন্ত্রীর একজন মুখপাত্র জানান, “আমরা ওয়েল্ট এম সোনট্যাগে এই বিষয়টি নিশ্চিত করেছি।”
ওয়েল্ট অ্যাম সোনট্যাগ একটি অজ্ঞাতপরিচয় জার্মান সরকারী সূত্রের বরাত দিয়ে জানায়, ট্রাম্প বিজ্ঞানীদের গবেষনায় প্রাপ্ত ফলাফলকে একচেটিয়াভাবে সুরক্ষিত করার চেষ্টা করছেন এবং আমেরিকা যুক্তরাষ্ট্রের জন্য একটি ভ্যাকসিন পাওয়ার জন্য চেষ্টা করবে “তবে এটি কেবল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ব্যবহার করা যাবে।”
প্রতিবেদনের বিষয়ে রবিবার রয়টার্সের সাথে যোগাযোগ করা হলে বার্লিনে অবস্থিত মার্কিন দূতাবাস থেকে তখন কোনও মন্তব্য করা হয়নি এবং কেউ কিওরভ্যাক এর পক্ষ থেকে মন্তব্য করার জন্য আগ্রহীও ছিল না। ওয়েল্ট অ্যাম সোনট্যাগ জানান, কিওরভ্যাক কোনও মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
কিওরভ্যাকের চিফ প্রডাকশন অফিসার এবং সহ-প্রতিষ্ঠাতা ফ্লোরিয়ান ভন ডের মুলেব গত সপ্তাহে রয়টার্সকে জানান, সংস্থাটি করোনা ভাইরাস ভ্যাকসিন বানানো সংস্থাগুলো থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছে এবং তার ভিতর ক্লিনিকাল ট্রায়াল দেয়ার জন্য দুই সেম্পল তারা বেছে নিয়েছে। আগামী জুন বা জুলাইয়ের মধ্যে পরীক্ষামূলক ভ্যাকসিন তৈরির আশা করছে কিওরভ্যাক৷ এরপর মানুষের উপর পরীক্ষা করার অনুমোদন চাওয়া হবে৷