ব্রিটেনের জাতীয় পরিসংখ্যান অফিস বলছে, দেশটির জিডিপি চার দশক আগের ঘরে গিয়ে দাঁড়াচ্ছে ২.২ শতাংশে। ১৯৭৯ সালের তৃতীয় প্রান্তিকে জিডিপির হার ছিল এমন। গত মার্চে জিডিপি ৬.৯ শতাংশ কমে যাওয়ার পর সংশোধিত জিডিপি এখন এ হারে নেমে যাচ্ছে বলে আশঙ্কা করছেন অর্থনীতিবিদরা।
ব্রিটিশ পরিসংখ্যান অফিসের উপ পরিসংখ্যানবিদ জনাথন এ্যাথো বলেন প্রথম প্রান্তিকে ধারণার চেয়ে জিডিপি বরং কমই হ্রাস পায় কিন্তু মার্চে এসে ভয়ঙ্করভাবে তা কমেছে । প্রথম প্রান্তিকে ব্রিটেনের পরিবারগুলোর সঞ্চয়ের পরিমান ৮ . ৬ শতাংশে বৃদ্ধি পায় যা এর আগের প্রান্তিকে ছিল ৬ . ৬ শতাংশ। যা ভোক্তাদের খরচের হ্রাসের দিকটি প্রতিফলন করে ।
ব্রিটেনের পরিসংখ্যান অফিস আরো বলছে, গত এপ্রিলে ব্রিটেনের জিডিপি সর্বোচ্চ ২০.৪ শতাংশ হ্রাস পায় যা ২০০৮-৯ সালে চরমমন্দার সময়ের জিডিপি’র চেয়ে ৩ গুণ বেশি। ব্যাংক অব ইংল্যান্ড সতর্ক করে এ মাসের শুরুতেই জানায় চলতি বছরের মাঝামাঝি জিডিপি ২০ শতাংশ হ্রাস পাবে । কোভিডে ব্রিটেনে অবশ্য ধনীরা আরো ধনী এবং গরীবরা আরো ঋণে জর্জরিত হয়ে পড়েছে বলছে আরেক জরিপ ।
ব্রিটেনে গত বছর শেষ প্রান্তিকে চলতি হিসেব ঘাটতি ১১ বিলিয়ন ডলার থেকে বর্তমানে তা বৃদ্ধি পেয়েছে ২৬ বিলিয়নে । ব্রিটেনের অর্থনীতিতে গতি ফিরিয়ে আনতে ব্যাপক অবকাঠামো উন্নয়নের জন্যে প্রধানমন্ত্রী বরিস জনসন ৬ বিলিয়ন ডলারের বিশেষ অর্থনৈতিক প্রকল্প হাতে নিচ্ছেন।