চলমান করোনাভাইরাস মহামারিতে দেশের শেয়ারবাজারের অবস্থা নাকাল। যার ফলে রবিবার (২১ জুন) ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জে (ডিএসই) ১৩ বছরের মধ্যে সর্বনিম্ন লেনদেন হয়েছে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস নির্ধারণ করে দেওয়ায় বিনিয়োগকারীদের মধ্যে অস্বস্তি কাজ করছে। এ কারণে তারা শেয়ার কিনছেন না।
সপ্তাহের প্রথম দিন রবিবার ডিএসই’তে মোট ৩৮ কোটি ৬২ লাখ টাকার শেয়ার হাতবদল হয়েছে, যা আগের দিন ছিল ৬৯ কোটি ৬৫ লাখ টাকা। ঢাকার বাজারে এর চেয়ে কম লেনদেন হয়েছিল ২০০৭ সালের ২৩ এপ্রিল। সেদিন মোট ৩৭ কোটি ৬৯ লাখ টাকার শেয়ার হতবদল হয়েছিল।
একজন বাজার বিশ্লেষক বলেন, ‘সবাই মনে করছে আমি যদি এখন শেয়ার কিনি, আর ফ্লোর উঠিয়ে দেয়, তাহলে তো টাকা আটকে যাবে।’
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভাবে আতঙ্ক আর টানা দরপতনের পর গত ১৯ মার্চ সার্কিট ব্রেকারের নিয়মে পরিবর্তন আনা হয়। সেদিন বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) এক আদেশে বলা হয়, আগের পাঁচ দিন প্রতিটি কোম্পানির শেয়ারের ক্লোজিং প্রাইসের গড় হবে ওই কোম্পানির শেয়ারের ফ্লোর প্রাইস। ওই শেয়ারের জন্য ওই দর ‘সার্কিট ব্রেকার’ হিসেবে গণ্য হবে। তবে দর বৃদ্ধিসহ অন্য ক্ষেত্রে সার্কিট ব্রেকারের আগের নিয়মই অব্যাহত থাকবে।
এদিকে লেনদেন কমলেও রবিবার ঢাকার বাজারের প্রধান সূচক ডিএসইএক্স আগের দিনের চেয়ে ২ দশমিক ৪০ পয়েন্ট বা দশমিক ০৬ শতাংশ বেড়ে ৩ হাজার ৯৬২ দশমিক ৯৮ পয়েন্ট হয়েছে। ডিএসইতে ২৪৫টি কোম্পানির শেয়ার ও মিউচ্যুয়াল ফান্ডের ইউনিট লেনদেন হয়েছে। এর মধ্যে দর বেড়েছে ১৭টির, আর কমেছে ১৪টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ২১৪টির দর।