বড়দিনকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক ক্রেতারা আশাবাদের জোগান দিচ্ছেন। এতে ভীতি দূর হলে পোশাক পণ্যের বিক্রি বাড়বে। বাংলাদেশ প্রতিদিনের সঙ্গে আলাপকালে তিনি আরও বলেন, আন্তর্জাতিক ক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলো বাতিল ও স্থগিত হওয়া ক্রয়াদেশ নতুন করে দিচ্ছে। বড়দিন সামনে রেখে বিক্রির আগ্রহ দেখিয়ে ক্রেতারা পণ্যও নিচ্ছেন বলে জানান, বাংলাদেশ চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রিজ-বিসিআই সভাপতি আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ।
মহামারী করোনাভাইরাসের প্রেক্ষাপটে দেশের প্রধান রপ্তানি খাত তৈরি পোশাকশিল্পে ভবিষ্যতে অবিশ্বাস্য রকমের প্রবৃদ্ধি হবে বলে মনে করেন তিনি। দেশের অন্যতম এই পোশাক রপ্তানিকারক বলেন, পোশাক রপ্তানিকারক প্রতিষ্ঠান গিভিন্সি গ্রুপের এই কর্ণধার বলেন, আমাদের প্রধান ক্রেতা দেশগুলোর ইউরোপ ও আমেরিকার সেন্টিমেন্ট বা মানসিকতা এখন এমন পর্যায়ে দাঁড়িয়েছে যে, তারা আর চীনে অর্ডার দিচ্ছেন না। তারা ভিয়েতনামে যাচ্ছেন। ভিয়েতনাম আর কত অর্ডার নিতে পারবে।
এই অর্ডার বাংলাদেশেও আসবে। ফলে বাংলাদেশ এই যাত্রায় কোনোভাবে টিকে থাকলেই পোশাকশিল্প উচ্চ প্রবৃদ্ধির দিকে যাবেই। এখন প্রয়োজন নিজেদের প্রতিযোগী সক্ষম করে গড়ে তোলা। আগামী ছয় থেকে আট মাস টিকে থাকার লড়াইয়ে জিতলে বাংলাদেশের পোশাকশিল্পের ভবিষ্যৎ অবিশ্বাস প্রবৃদ্ধি হবেই। তিনি বলেন, বিশ্ব এখন আশা-নিরাশার দোলে দুলছে। কেউ আত্মবিশ্বাস নিয়ে বলতে পারছে না ব্যবসা-বাণিজ্যের কী হবে। পোশাক মানুষের অগ্রাধিকার নয়। এখন মানুষের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসাই অগ্রাধিকার। কারণ মানুষ আর বাসায় থাকতে চায় না।
তারা বেরও হচ্ছেন। এই বের হওয়ার স্বাদ জেলখানা থেকে বের হওয়ার মতোই। আনোয়ার উল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, বিশ্বের অনেক দেশে করোনার দ্বিতীয় ধাপ শুরু হয়েছে। আবার নতুন করে লকডাউন দেওয়া হচ্ছে। এখন ইনডোরে বেশি লকডাউন হচ্ছে। এর মাঝেই কিছু ক্রেতা প্রতিষ্ঠান খোলা আছে। আবার উৎপাদনশীলতা বাড়াতেও কারখানা খোলা দরকার। এতে উৎপাদন যেমন বাড়বে, তেমনি কর্মসংস্থানও রক্ষা হবে।