সাম্প্রতিক শিরোনাম

রেমিটেন্স নিয়ে বাংলাদেশের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাংকের ভুল তথ্য

বিশ্ব ব্যাংকের দেয়া ভুল তথ্য অনুযায়ী ভারত বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়ের সব থেকে বড় উৎস। তাদের মতে ভারত থেকে বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয় ৪,০৩৩ মিলিয়ন ডলার। কিন্তু বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে ভারত বাংলাদেশের রেমিট্যান্স আয়ের অন্যতম বড় ৩০ টি উৎস দেশের ভেতর নেই। ভারত থেকে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ৫ মিলিয়ন ডলার। আর এটিকে কিনা বানিয়ে দিয়েছে ৪,০৩৩ মিলিয়ন।

বাংলাদেশিরা ভাল করেই জানেন যে এদেশ থেকে মানুষ ভারত যায় কথা সত্য। তবে কাজের সন্ধানে যায় না । এদেশ থেকে যায় প্রধান দুটি উদ্দেশ্যে।

১. ভ্রমণঃ– ভারতের মিডিয়া অনুযায়ী ও ভারতের প্রতি তিনজন ভ্রমণকারীর একজন বাংলাদেশি। বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে ভারতে ঘুরতে যেয়ে প্রতি বছর।

২. চিকিৎসাঃ– এদেশের চিকিৎসা ব্যবস্থায় আস্থা পায়না অনেকে । তাই বিদেশে চিকিৎসা নেয়ার জন্য ভারতে যায়। বিলিয়ন ডলার ব্যয় করে। কিছুদিন আগেও একটি রিপোর্ট প্রকাশ পেয়েছিল যেখানে বলা হয়েছে করোনা পরিস্থিতিতে বন্দর লকডাউন হয়ে যাওয়ায় কোলকাতার হাসপাতালগুলি বড় রকমের লসের সম্মুখীন। হাসপাতাল ফাকা পড়ে আছে। তাদের আয়ের প্রধান উৎস বাংলাদেশি রোগীরা। আর এদেশের রোগী টানতেই প্রতি বছর তারা কোটি টাকা কমিশন দিয়ে দালাল নিযুক্ত করে রেখেছে এই দেশে।

কাজের সন্ধানে বাংলাদেশিরা ভারত যায় এরকম কখনো শোনা হয়নি , দেখাও হয়নি। এদেশের মানুষ যাদের সামর্থ্য আছে তারা ১৫-২০ লাখ টাকা ব্যয় করে ফ্রান্স, জার্মানি, ইতালিকে বেছে নেয়। যাদের সামর্থ্য কম তারা মালয়েশিয়া যায়। আবার এদেশের প্রচুর মানুষ মধ্যপ্রাচ্য যায় কাজের সন্ধানে। মধ্যপ্রাচ্য শুধু বাংলাদেশিদের লক্ষ্যবস্তু তা নয়। ভারতীয়, নেপালি, পাকিস্তানিরাও যায়।

তদের মতে মালয়েশিয়া থেকে বাংলাদেশে পাঠানো রেমিট্যান্স এর পরিমান বছরে মাত্র ২০৮ মিলিয়ন ডলার। মানে বছরে মাত্র ১৭০০ কোটি টাকা। যারা বিভিন্ন ব্যাংকে ফরেন রেমিট্যান্স বিভাগে যুক্ত আছেন তার খুব সহজেই এই এমাউন্ট দেখে হাসতে পারবেন। বাংলাদেশ ব্যংকের হিসাব মতে মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসা টাকার পরিমান ১১০৭ মিলিয়ন ডলার। বিশ্ব ব্যাংক যে তথ্য দিছে সেটা বছরের না। এক মাসেই এই পরিমান অর্থ মালয়েশিয়া থেকে দেশে আসে।

আরেকটু ক্লিয়ার হবার জন্য পাকিস্তানের রিপোর্ট দেখা যাক। বিশ্ব ব্যাংকের মতে পাকিস্তান থেকে বাংলাদেশে রেমিট্যান্স এসেছে ২২৭ মিলিয়ন ডলার। এটা দেখলেও যে কেউ চমকে উঠবে। এক কর্মকর্তা জানান, আমি দীর্ঘ ৪ বছর একটি ব্যাংকে রেমিট্যান্স এর দায়িত্বে ছিলাম। কিন্তু এই দীর্ঘ সময়ে পাকিস্তান থেকে রেমিট্যান্স এসেছে এরকম একটি ঘটনাও প্রত্যক্ষ করিনি। তাই অবশ্যই এটা যে বিশ্বাসযোগ্য নয় সেটা বুঝতেই পারছেন। বাংলাদেশ ব্যাংকের মতে পাকিস্তান থেকে রেমিট্যান্স এসেছে মাত্র ১.৩ মিলিয়ন ডলার। সেটাকেই ২২৭ মিলিয়ন বলছে বিশ্বব্যাংক। 

হুন্ডির হিসাব বাংলাদেশ ব্যাংক কেন, বিশ্ব ব্যাংক সহ কারো পক্ষেই প্রকৃত সংখ্যা বলা সম্ভব না। কিন্তু ব্যাংকিং চ্যানেলে কত টাকা রেমিট্যান্স আসে তার প্রতিটির ভাউচারসহ হিসাব থাকে। তাই এই প্রকৃত সংখ্যা উপেক্ষা করে এরকম ভুয়া তথ্য দেয়ায় বিশ্ব ব্যাংকের উদ্দেশ্য নিয়ে প্রশ্ন তোলার অবকাশ কি রয়ে যায় না?

সর্বশেষ

প্রধানমন্ত্রীকে পুতিনের অভিনন্দন

পুনরায় নির্বাচিত হওয়ায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে অভিন্দন জানিয়েছেন রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন।বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো এক পত্রে পুতিন বলেন ‘রাশিয়া-বাংলাদেশ সম্পর্ক ঐতিহ্যগতভাবে বন্ধুত্বের...

আওয়ামী লীগের বিজয় উৎসব উদযাপন করলো রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন

রিয়াদ প্রতিনিধি- ১০জানুয়ারী বুধবার স্হানীয় সময় রাত সাড়ে ১০ঘটিকায় হোটেল ডি-প্যালেসে রিয়াদ মহানগর বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন, আল খারজ বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন ও আল কাসিম বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন...

পর্যবেক্ষণে গিয়ে সন্তুষ্ট যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি, আয়ারল্যান্ড ও সুইস পর্যবেক্ষকরা

দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনে নারায়ণগঞ্জ-১ (রূপগঞ্জ) আসনের কয়েকটি ভোট কেন্দ্র পরিদর্শন করেছেন যুক্তরাষ্ট্র, জার্মানি ও আয়ারল্যান্ডের ও সুইস পর্যবেক্ষক দল।দুপুর একটার দিকে উপজেলার কয়েকটি ভোট...

ভিডিও কনফারেন্সে মিটিং করে ট্রেনে আগুন দেয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপি নেতারা

নির্বাচনের আগে দেশে বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টি করে বিদেশি সংস্থা, মিডিয়া ও বিভিন্ন দেশের মনোযোগ নেয়ার উদ্দেশ্যই ট্রেনে আগুন দেয়া হয় বলে জানায় ডিবি। বিএনপি...