বাংলাদেশ ও সৌদি আরবের মধ্যকার দুই দিনব্যাপী জেসি সভা অনুষ্ঠিত হয় রাজধানীর শেরে বাংলানগরের এনইসি সম্মেলন কক্ষে। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব মনোয়ার আহমেদ এবং সৌদি আরবের প্রতিনিধিদলের পক্ষে নেতৃত্ব দেন সৌদি শ্রম মন্ত্রণালয়ের উপমন্ত্রী মাহির আব্দুল রাহমান গাসিম।
যেসব খাতে সৌদি আরব বিনিয়োগ করতে চায় সেগুলোর মধ্যে আছে- জনশক্তি ও কর্মসংস্থান, দ্বিপাক্ষিক অর্থনৈতিক ও বাণিজ্যিক সম্পর্ক উন্নয়ন, বিনিয়োগ ও শিল্প, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, বেসামরিক বিমান চলাচল ও পর্যটন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতসহ ধর্ম বিষয়ক খাত। প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করবে সৌদি আরব।
বৈঠকের শুরুতে মাহির আবদুল রাহমান গাসিম সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগের ব্যাপারে সৌদি আরব আগ্রহী আছে। তাই বৈঠকে অংশ নেওয়া প্রতিনিধি দলে দেশটির শীর্ষস্থানীয় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের যুক্ত করা হয়েছে।
সৌদি আরবের অর্থনৈতিক উন্নয়নের বাংলাদেশের শ্রমশক্তি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে জানিয়ে তিনি বলেন, দেশটিতে কর্মরত প্রবাসীদের মধ্যে ১৩ শতাংশই বাংলাদেশি। এখন তারা বাংলাদেশে বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজছেন।
সৌদি আরামকোর ব্যবসা উন্নয়ন ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ জুলিও সি হেজেলমেয়ার মোসেস সাংবাদিকদের বলেন, বাংলাদেশে কী ধরনের বিনিয়োগের সুযোগ রয়েছে তা জানতেই তারা এখানে এসেছেন।
ইআরডি সূত্র জানায়, গ্রাম পর্যায়ে ৪জি টেলিটকের নেটওয়ার্ক সম্প্রসারণ এবং শহরে ৫জি সেবা প্রদানে ১০০ কোটি ডলারের প্রস্তাব দিয়েছে সৌদি আরব। তাদের বিনিয়োগের মাধ্যমে রাষ্ট্রায়ত্ত মোবাইল সেবাদানকারী প্রতিষ্ঠান টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেডের (টিবিএল) অবকাঠামো উন্নয়ন করা হবে।
সৌদির টেলিকম খাতে বিনিয়োগ করা বড় প্রতিষ্ঠান আল-জমিয়াহ গ্রুপ টিবিএলকে এই বিষয়ে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে। প্রতি ডলার সমান ৮৫ টাকা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় টেলিকম খাতে ৮ হাজার ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে সৌদি আরব।