তেলেগু সিনেমার অভিনেত্রী পূজা হেগড়ে। ২০১৬ সালে আশুতোষ গোয়ারিকরের হৃতিক রোশনের বিপরীতে মহেঞ্জোদারো ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষিক্ত হন।
অভিষেক ছবিতেই হৃত্বিক রোশনের মতো সুপারস্টারের সঙ্গে অভিনয়ের সুযোগ তাকে বলিউডেও এনে দেয় খ্যাতি।
পূজা হেগড়ে অভিনয় করছেন বেশ আলোচিত ‘আচার্য’ সিনেমায়। এর কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করছেন চিরঞ্জীবী। এ ছাড়া গুরুত্বপূর্ণ একটি চরিত্রে দেখা যাবে রাম চরণকে। আর এতে তার সঙ্গে রোমান্স করতে দেখা যাবে ‘মুগামুদী’ সিনেমার মাধ্যমে আত্মপ্রকাশ করা এই পূজা হেগড়েকে।
সিনেমায় খুব বেশি অংশে থাকছেন না তিনি। মাত্র ২০ মিনিট অভিনয়ের জন্য এই অভিনেত্রী পারিশ্রমিক নিচ্ছেন ১ কোটি রুপি।
যার বাংলাদেশি মূল্যমান ১ কোটি ১৬ লাখ টাকা। নির্মাতারা এত পারিশ্রমিক দিয়েই সিনেমায় নিয়েছেন তাকে। খবর মিস ফেমিনা ইন্ডিয়া ও ওড়িশা টিভির।
‘আচার্য’ মুক্তি পাওয়ার কথা রয়েছে আগামী ৭ মে। কোরাতলা শিবা পরিচালিত ছবিটিতে প্রভাস ছাড়াও অভিনয় করেছেন কাজল আগরওয়াল ও সুনো সোদ।
পূজা একজন সাবেক সুন্দরী প্রতিযোগী, তিনি মাইসকিনের তামিল সুপারহিরো চলচ্চিত্র মুগামুদী (২০১২)-তে অভিনয়ে আত্মপ্রকাশের আগে মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০১০ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার-আপ হয়েছিলেন।
তিনি তেলেগু চলচ্চিত্র ওকা লায়লা কোসাম এবং মুকুন্দা (২০১৪)-তে অভিনয় করেছিলেন।
হেগড়ে মিস ইন্ডিয়া ২০০৯ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিলেন, তবে মিস ইন্ডিয়া ট্যালেন্টেড ২০০৯ সম্মান জেতা সত্ত্বেও প্রথম দিকেই তাকে বাদ দেওয়া হয়েছিল।
পরের বছর তিনি পুনরায় আবেদন করেছিলেন এবং মিস ইউনিভার্স ইন্ডিয়া ২০১০ প্রতিযোগিতায় দ্বিতীয় রানার-আপ হয়েছিলেন, এ ছাড়া তিনি পার্শ্বপ্রতিযোগিতা মিস ইন্ডিয়া সাউথ গ্ল্যামারাস হেয়ার ২০১০-এর মুকুট জিতেছিলেন।
তিনি মাইসকিনের তামিল সুপারহিরো চলচ্চিত্র মুগামুদী (২০১২)-তে জীবের বিপরীতে নারীর মুখ্য ভূমিকায় অভিনয় করে চলচ্চিত্রে অভিষেক করেছিলেন।
চলচ্চিত্রটি সে বছরের আগস্টে বক্স অফিসে দুর্দান্ত এক উদ্বোধন করেছিল। তবে চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের কাছ থেকে মিশ্র ও নেতিবাচক সমালোচনা লাভ করেছিল এবং দুর্ভাগ্যবশত এটি বাণিজ্যিক ব্যর্থতায় পরিণত হয়েছিল।
হেগড়ের অভিনয়ও মিশ্র পর্যালোচনা লাভ করেছিল; সিফি ডটকম-এর একজন সমালোচক উল্লেখ করেছিলেন, তিনি ‘আশা পূর্ণ করতে পারেননি যদিও দ্য হিন্দুর একজন সমালোচক উল্লেখ করেছিলেন, প্রতিভা প্রদর্শনের জন্য তার তেমন সুযোগ নেই।
তিনি ২য় দক্ষিণ ভারতীয় আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ তামিল নবাগতা অভিনেত্রী বিভাগে মনোনয়ন অর্জন করেছিলেন, কিন্তু লক্ষ্মী মেননের কাছে পরাজিত হন।
পূজার অভিনীত দ্বিতীয় চলচ্চিত্রটি ছিল তেলেগু ভাষার ওকা লায়লা কোসাম (২০১৪), যেখানে তিনি নাগা চৈতন্যের বিপরীতে অভিনয় করেছিলেন। চলচ্চিত্রটিতে অভিনয়ের জন্য তিনি প্রশংসিত হয়েছিলেন।
একই সময়ে তিনি ৬২তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার (দক্ষিণ)-এ শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী বিভাগে মনোনীত হয়েছিলেন।
একটি প্রযোজনা সংস্থা এবং পরিচালক বিজয় কোন্ডার পূর্ববর্তী উদ্যোগের সাফল্য তাকে এই প্রকল্পে কাজ করার জন্য উদ্বুদ্ধ করেছিল।
তিনি মুখ্য নারী চরিত্রে অভিনয়ে সহায়তার জন্য তেলেগু ভাষা রপ্ত করেছিলেন। পরবর্তী সময়ে তিনি মুকুন্দা চলচ্চিত্রে অভিনেতা চিরঞ্জীবীর ভাগ্নে বরুণ তেজর সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন।
একটি গ্রামের পটভূমিতে নির্মিত প্রণয়-মারপিটধর্মী কাহিনির চলচ্চিত্রটি ২০১৪ সালের শেষদিকে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটিতে হেগড়ে গোপিকাম্মা গানে তার অবিস্মরণীয় অভিনয়ের মাধ্যমে সবা্ইকে মুগ্ধ করেছিল।
পূজা এবার নতুন করে আলোচনায় এলেন তার পারিশ্রমিকের জন্য।