আকাশসীমা পার হওয়া নিয়ে আমেরিকার বিরুদ্ধে বড়সড় অভিযোগ। তাদের দাবি, আকাশসীমা পেরিয়ে মার্কিন গুপ্তচর বিমান ঢুকে পড়েছে চীনা ভূখণ্ডে।
বেইজিংয়ের দাবি, মার্কিন গুপ্তচর বিমান ইউ-টু চীনের আকাশসীমায় উড়তে দেখা গিয়েছে।
বেশি উচ্চতায় উড়তে সক্ষম এই সুদক্ষ বিমানগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের অন্যতম অস্ত্র, যা দিয়ে চীনের ওপর নজর রাখছে আমেরিকা।
আমেরিকার এই গুপ্তচর বিমান ৭০ হাজার ফুট ওপর দিয়ে যেকোনও মিসাইল হামলা থেকে নিজেকে বাঁচিয়ে উড়ে যেতে সক্ষম। ফলে চীনের কাছে এটি বড় হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়াচ্ছে।
চীনের পিপলস লিবারেশন আর্মির নর্দান কমান্ড যখন সেনা মহড়ায় ব্যস্ত ছিল, তখন চীনের আকাশসীমায় নজরদারি চালিয়েছে মার্কিন গুপ্তচর বিমান।
ওয়াশিংটন জানিয়েছে, আন্তর্জাতিক বিধি মেনেই এশিয়া-প্যাসিফিকে উড়ছে ইউ-টু বিমান। এই বিমান কোনও আন্তর্জাতিক বিধিভঙ্গ করেনি।
পাল্টা তাদের দাবি, চীন এই বিমানগুলোকে আগে থেকে চীনে নিতে না পারায় ক্ষোভে ফুঁসছে, তাই ভিত্তিহীন কথা বলছে।
চীনের নতুন করে ক্ষমতা বিস্তারের প্রেক্ষাপটে এমন ঘটনা রীতিমত উদ্বেগে রাখছে দক্ষিণ এশিয়াকে। মার্কিন বি-১ এস, বি-২এস বিমান রয়েছে দক্ষিণ চীন সাগরে। এছাড়াও জাপানের তাবড় যুদ্ধ জাহাজ সেখানে মজুত রয়েছে, যা নিয়ে চীন কিছুটা হলেও ভয় পেয়েছে বলেই মনে করা হচ্ছে।
দক্ষিণ চীন সাগরের মহড়ায় দুটি শক্তিশালী যুদ্ধবিমান প্রস্তুত রেখেছে আমেরিকা। গত ৬ বছরে দক্ষিণ চীন সাগরে এই ছবি দেখা যায়নি।
চীনের সঙ্গে আমেরিকার কার্যত ‘ঠাণ্ডা যুদ্ধ’ লেগেই রয়েছে। করোনা সংক্রমণের পর থেকে সেই সংঘাতের আঁচ ক্রমশ বাড়ছে। কিছুদিন আগেই চীন-তাইওয়ান সীমান্তবর্তী তাইওয়ান প্রণালীর ওপরে বেশ কয়েকটি চীনা যুদ্ধবিমানকে ঘুরতে দেখা যায় বলেও অভিযোগ করে তাইওয়ান।
চীনের চোখরাঙানির শিকার হতে হচ্ছে এ বিষয়ে আগে থেকেই সুর চড়াচ্ছিল তাইওয়ান। মার্কিন স্বাস্থ্যসচিবের সফরকে ভালো চোখে দেখেনি চীনও।
১৯৭৯ সালের পর থেকে তাইওয়ানের সঙ্গে কোনও কূটনৈতিক সম্পর্ক রাখেনি আমেরিকা। তৎকালীন পরিস্থিতিতে চীনের পক্ষ নিয়েই এই পদক্ষেপ নিয়েছিল তারা। তবে ইদানিং চীন-আমেরিকা সম্পর্কের অবনতির পর সেই ছবি বদলে গেছে। তাইওয়ান চীনেরই অংশ বলে বরাবরের দাবি বেইজিংয়ের।