ভারতের পশ্চিমবঙ্গে প্রতিদিনই বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। দীর্ঘ হচ্ছে মৃত্যুর মিছিলও। তবে এমন পরিস্থিতিতে করোনা হাসপাতাল তৈরি এবং ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃতদের দেহ সৎকার নিয়ে অনেকেই সমস্যা তৈরি করছে পশ্চিমবঙ্গে। করছেন বিক্ষোভও। বিষয়টি নিয়ে বিরক্ত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি। এনিয়ে বিরক্তির সুরে তিনি বলেছেন, আমার বাড়ির মধ্যে চুল্লি বানিয়ে পুড়িয়ে দিন।
ভারতজুড়ে করোনা গ্রাফ যে ঊর্ধ্বমুখী হবে, তা আগেই আঁচ করেছিলেন বিশেষজ্ঞরা। সেই অনুযায়ী ব্যবস্থাও নিয়েছে প্রায় প্রতিটি রাজ্য। বাংলাও তার ব্যতিক্রম নয়। বেশ কয়েকটি সরকারি হাসপাতালকে পুরোপুরি কভিড হাসপাতাল হিসেবে গড়ে তোলা হয়েছে। কিছু বেসরকারি হাসপাতালও অধিগ্রহণ করেছে রাজ্য সরকার।
ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারকে আক্রমণ করে মমতা বলেন, কী দিতে পেরেছেন আপনারা? আমরা ভেবেছিলাম ১০ হাজার ভেন্টিলেটর পাব। ফ্রি ড্রাগস, পিপিই পাব। খালি হাতে তালি বাজালে হয়ে গেল? কী দিয়েছেন? যা দিয়েছেন তা দিয়ে মার্চ থেকে এখনো চলে যাবে? সামনেই নির্বাচন বলে একটা রাজ্যকে সারাক্ষণ গালি দেওয়া হচ্ছে। সব সময় রাজনীতি করবেন না। বাংলায় যা আছে তাই দিয়ে করোনা সামাল দেব।
ছাড়া বিভিন্ন জায়গায় গড়ে তোলা হয়েছে সেফ হোম। তবে কখনো করোনা হাসপাতাল তৈরি করা নিয়ে আবার কখনো করোনা রোগীর দেহ সৎকার নিয়ে বারবার তৈরি হয়েছে উত্তেজনা। বিক্ষোভ দেখিয়েছে বহু মানুষ। আবার কখনো কখনো করোনা রোগীর দেহ না হওয়া সত্ত্বেও সৎকারে বাধা দেওয়া হচ্ছে। প্রায় বেশির ভাগ দিনই এমন অভিযোগ সামনে আসে। তবে সব কিছুর পরেও পশ্চিমবঙ্গ করোনা পরিস্থিতি সামলে নেবে বলেই আশাবাদী মমতা।