যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প, করোনা টিকা নেওয়ার সময় সবাই তার কথা মনে রাখবেন বলে আশা প্রকাশ করেছেন।
তিনি প্রেসিডেন্ট না থাকলে কখনোই এই টিকা পাওয়া সম্ভব হতো না বলে মনে করেন তিনি। বৃহস্পতিবার ট্রাম্প এক বিবৃতিতে এ কথা জানান।
বৃহস্পতিবার যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন জনসন অ্যান্ড জনসনের এক কোটি টিকা সংগ্রহের পরিকল্পনার কথা ঘোষণা করেন।
এরপরই ট্রাম্প তার বিবৃতিতে এ দাবি করেন। গত ২০ জানুয়ারি প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নেওয়ার পরই জো বাইডেন সর্বত্র টিকাদানের মাধ্যমে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণ করার কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তবে ট্রাম্পের দাবি, টিকা কার্যক্রমের সকল কৃতিত্ব তাঁর। যদিও করোনাভাইরাস নিয়ে বিভিন্ন সময়ে উদ্ভট কথাবার্তা বলতেন ট্রাম্প। তিনি এটিকে সাধারণ ফ্লু হিসেবে উড়িয়ে দিতে চেয়েছেন। ফল স্বরুপ নিজেও করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়েছেন।
টিকা আসার পর জো বাইডেন প্রকাশ্যে টিকা নিয়েছেন। তবে ট্রাম্প কবে টিকা নিয়েছেন, তা প্রকাশ্যে জানানো হয়নি। পরে সিএনএন-এর এক প্রতিবেদনে জানানো হয়, ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সাবেক ফার্স্ট লেডি মেলানিয়া ট্রাম্প জানুয়ারির শুরুতেই গোপনে টিকা নিয়েছেন।
ঠিক এক বছর আগে এই ১১ মার্চেই মার্কিন কংগ্রেসে করোনাভাইরাস নিয়ে প্রথম আলোচনা শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের সংক্রামক রোগ বিশেষজ্ঞ অ্যান্থনি ফাউসি সে সময় কংগ্রেসে করোনা পরিস্থিতি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন।
তবে ফাউসির সেসব কথায় খুব বেশি গুরুত্ব তখন দেননি ট্রাম্প। করোনাভাইরাসের টিকা নিয়ে জনস্বার্থ প্রচারণামূলক একটি বিজ্ঞাপনে অংশ নিয়েছেন সাবেক চার মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা, জর্জ ডব্লিউ বুশ, বিল ক্লিনটন ও জিমি কার্টার।
মানুষকে টিকা নিতে উৎসাহিত করতে দুটি বিজ্ঞাপনে সস্ত্রীক দেখা যাবে তাঁদের। তবে ট্রাম্প ও মেলানিয়াকে এ ধরনের কোনো প্রচারেও দেখা যায়নি।
যুক্তরাষ্ট্রে এ পর্যন্ত করোনাভাইরাসে সংক্রমিত হয়ে মারা গেছেন ৫ লাখ ৪৩ হাজার ৭২১ জন। গত বছরের ডিসেম্বর থেকে দেশটিতে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়।
যুক্তরাষ্ট্রে এখন গড়ে প্রতিদিন ২০ লাখের বেশি মানুষকে করোনার টিকা দেওয়া হচ্ছে। দেশটির সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল বলছে, প্রায় ১৮ শতাংশ মানুষকে টিকা দেওয়া হয়ে গেছে।